
সাকলাইন আলিফ :
‘রান ফর হিরোজস্ অফ আওয়ার ভিক্টোরি’ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথন-২০২৪’ প্রতিযোগিতা। জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২১ কিলোমিটার দূরত্বের এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন ৩৯৮ জন দেশি-বিদেশি দৌঁড়বিদ। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে সমুদ্র ও পাহাড়ের নান্দনিক পরিবেশে এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুশি দৌঁড়বিদরা। জাতীয় জীবনের মহান বীরদের স্মরণ করার পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন এবং কক্সবাজারের পর্যটনকে বিকশিত করতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
পাহাড়-সমুদ্র ও স্বচ্ছ বালিয়াড়ির বিস্তৃত সৈকতের বুক চিড়ে বয়ে চলা অনিন্দ্য সৌন্দর্য্যের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ; যেখানে ভোরের আলো ফুটতেই মেরিন ড্রাইভ ধরে ছুটতে শুরু করেন একদল দৌঁড়বিদ। একদিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন, অন্যদিকে পাহাড়ী সবুজের হাতছানি; প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য্যের পরিবেশে বিরামহীন ছুটেও যেন ক্লান্তির ছাপ নেই কারও দেহমনে।
সড়কের দরিয়ানগরের ভাঙারমুখ থেকে এই ‘হাফ ম্যারাথন’ শুরু হয়; যা ইতিটানা হয় ২১ কিলোমিটার দূরুত্বের উখিয়ার ইনানীতে। অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পুরোটা পথ শেষ হয়েছে মুগ্ধতায়, তাই লক্ষ্যে পৌঁছে প্রকৃতিরই স্তুতি অংশগ্রহণকারিদের। তারা বলেছেন, ম্যারাথনের জন্য মেরিন ড্রাইভ বাংলাদেশে সবচাইতে উপযুক্ত জায়গা। যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগের সাথে স্বাচ্ছন্দে দৌঁড়ানো যায়।
ম্যারাথনে অংশ নেয়া ৩৯৮ প্রতিযোগীর মধ্যে বাড়তি আকর্ষণ ছিল ১১ জন বিদেশি দৌঁড়বিদের অংশগ্রহণ। যাদের কেউ কেউ পেশাগত কাজে কক্সবাজারে কর্মরত; নিজেদের প্রয়োজনে শেখা চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় ভাষায় ব্যক্ত করেছেন ব্যক্তিগত অনুভূতিও।
প্রতিযোগিতার জন্য ২১ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে সেবাবুথ, ওয়াটার স্টেশন বা হাইড্রেশন কর্ণার এবং ম্যারাথন শেষে অ্যাপায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়। এছাড়াও পর্যাপ্ত সড়ক নিরাপত্তা, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, মেডিকেল ক্যাম্প ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যবস্থা রাখা হয়। হাফ ম্যারাথনে কাট অফ টাইম (ফিনিশিং টাইম) ধরা হয় ৪ ঘন্টা। ৩৯৮ জনের মধ্যে দৌড় শেষ করেছেন ২৪৮ জন। এতে পুরুষ বিভাগে ইমরান হোসেন এবং নারী বিভাগে মেজর শাওলিন সিগমা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
আয়োজকরা জানালেন, জাতীয় জীবনের মহান বীরদের স্মরণ করার পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করা এবং কক্সবাজারের পর্যটনকে বিকশিত করতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন।
অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিমেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ সালাহউদ্দিন।
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারি প্রতিযোগীদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় অর্থ পুরুষ্কার, সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র।