বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়

নিউজ রুম / ৭২ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

সাকলাইন আলিফ :
মঙ্গলবার ছিল ২০২৪ সালের শেষ দিন। বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বিপুল পরিমাণ পর্যটক এর সমাগম ঘটে। ছবি তুলে স্মৃতি ধারণ করে রাখেন পর্যটকরা। আগে থেকে বুকিং ছিল সবগুলো হোটেল মোটেল। তবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে সৈকতে থাকছে না কোন আয়োজন। কিছু তারকা মানের হোটেলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয় নানাভাবে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি রেব দায়িত্ব পালন করে।
বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজারে আগমন ঘটে পর্যটকদের। পরিবারের সদস্য অনেকে আবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে এসেছেন কক্সবাজারে। বিকালের পর থেকে সমুদ্রসৈকতের, কলাতলী, লাবনী, সুগন্ধা, শৈবাল পয়েন্টসহ পুরো সৈকত জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা ছিল সৈকত জুড়ে।
সন্ধ্যার আগে আগে সৈকত পর্যটকে ভরপুর হয়ে যায়। আগত পর্যটকরা পুরানো বছরকে সৈকতে এসে বিদায় জানায়। বুধবার সূর্যোদয়ের মাধ্যমে শুরু হওয়ার নতুন বছর যেন সবার জীবনে অনাবিল সুখ আর সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসে এই প্রত্যাশা আগত পর্যটকদের।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে দশ বছর পর সৈকতে এলাম। আমার ছেলে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে পড়ে। ছেলের আবদার সৈকতের সূর্যাস্ত দেখবে। তাই পুরো পরিবার নিয়ে আসলাম। অনেক ভালো একটি সময় পার করলাম।
সিলেট থেকে আসা রাহনুমা তাবাসসুম বলেন, নতুন বিয়ে করে স্বামীকে নিয়ে এসেছি। কক্সবাজারে এসে পুরানো বছর কি বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করবো।
চট্টগ্রাম থেকে আসা দম্পতি আব্দুর রাজ্জাক ও ওয়াসিফা বলেন, কক্সবাজার সৈকতে সূর্যাস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি খুব ভালো লাগছিল। আমরা স্বামী-স্ত্রী একসাথে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় দিলাম কক্সবাজারে। এটার অনুভূতি অন্যরকম।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানী হিমছড়ি পাটুয়ারটেক এলাকাতেও পর্যটকের ভিড় ছিল।
কক্সবাজার হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কৈয়ুম জানান, সবগুলো হোটেল আগে থেকে বুকিং হয়ে গেছে। তারাকা মানের হোটেল গুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন, কক্সবাজার আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ টুরিস্ট পুলিশ একসাথে কাজ করছে। রাতে সৈকতে উন্মুক্ত কোন অনুষ্ঠান নেই।
পুলিশের পাশাপাশি রেব সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ সালাহউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা যেন কোন প্রকার হয়রান শিকার না হয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম দায়িত্ব পালন করছে সৈকত ও আশপাশের এলাকায়।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর