
বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজের সাতদিন পর গহীন পাহাড় থেকে এক যুবকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে; পুলিশের দাবি, নিহত যুবক একজন চিহ্নিত ডাকাত।
তবে ঘটনার ব্যাপারে স্বজনরা ভিন্ন বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে তুলে নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩ টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকা সংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত মোহাম্মদ রিদুয়ান টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকার চান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, রিদুয়ান একজন চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অপহরণসহ নানা অভিযোগে ৯ টির বেশী মামলা রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুপুরের দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকার সংলগ্ন পাহাড়ে স্থানীয় এক রাখাল বালক গরু চড়াতে যায়। এসময় রাখাল বালকটি ওই এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে উৎস খুঁজতে অর্ধগলিত একটি মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি সে স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করে।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় অর্ধগলিত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে বলেন, ওসি।
নিহতের ভাই ফিরোজ মিয়া বলেন, একই এলাকার জনৈক ছৈয়দ হোসেনের পরিবারের সাথে তাদের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও বিচারাধীন। এ বিরোধের জেরে গত ২ মার্চ তার ভাই রিদুয়ানকে প্রতিপক্ষের লোকজন তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ ঘটনার পর থেকে রিদুয়ানকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় এজাহার দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে রোববার দুপুরে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতির সময় তার ভাইয়ের লাশ উদ্ধারের খবর পান। “
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, রিদুয়ান একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে ডাকাত ও অপহরণকারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি ও অপহরণসহ নানা অভিযোগে থানায় ৯ টির বেশী মামলা রয়েছে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।