শিরোনাম :
ওসি প্রদীপের আক্রোশের শিকার সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় অসন্তোষ সাংবাদিকদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ: সেন্টমার্টিনকে হারিয়ে সোনাদিয়ার রোমাঞ্চকর জয় পর্যটন বিকাশে নিরাপত্তা অন্যতম প্রধান শর্ত -ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান পর্যটন নগরীতে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্ট সহ ১১ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ কক্সবাজারে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের মতবিনিময় রামুতে কৃষিপণ্য মেলা টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ২৮ জন উদ্ধার

একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু শোক কিভাবে সইবেন জাফর আলম

নিউজ রুম / ৬৩ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

সোয়েব সাঈদ :

রেল-সিএনজি সংঘর্ষের পর রেল লাইনের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ২ মেয়ে আর ২ নাতির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের চার সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বুকফাটা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ৫৫ বছর বয়সী জাফর আলম।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল সড়কে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ধাক্কায় দূর্ঘনায় প্রাণ হারান জাফর আলমের মেয়ে আসমাউল হোসনা (২৭) ও রেনু আক্তার (১৩), আসমাউল হোসনার ছেলে দুই ছেলে আতা উল্লাহ (১) ও আশেক উল্লাহ (৩)। সিএনজি চালক হাবিব উল্লাহও এ ঘটনায় প্রাণ হারান।

জাফর আলম জানান- বড় মেয়ে আসমাউল হোসনার শশুর বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার কালিরছড়া এলাকায়। সম্প্রতি পৈত্রিক বাড়িতে বেড়ানো শেষে দুই ছেলে আর ছোট বোন রেনুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শশুর বাড়ি। দূর্ঘটনার আধঘন্টা আগেও পুরো বাড়ি মুখরিত করে রেখেছিলো তার দুই নাতি আশেক উল্লাহ ও আতা উল্লাহ। একদিকে দুই মেয়ে আর অন্যদিকে ২ নাতির মৃত্যুর এ শোক তিনি কিভাবে সইবেন, এসব কথা বলতে বলতে তিনি বুকের উপর হাত চাপড়াতে থাকেন। জাফর আলমের এ আর্তনাদে দূর্ঘটনাস্থলে আসা মানুষের চোখও হয়ে উঠে অশ্রুসজল।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া রেলক্রসিং পারাপার স্থানে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের সিএনজি অটোরিক্সাটি ধলিরছড়া রেলক্রসিং পারাপারের সময়ে আকষ্মিক চট্টগ্রাম মুখি একটি ট্রেন, তাদের অটোরিক্সাকে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। চলন্ত ট্রেনের সামনে আটকেপড়া দুমড়ে মুচড়ে পড়া অটোরিক্সাটিকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার দুই মেয়ে ও দুই নাতি সহ সিএনজি অটোরিক্সা চালক নিহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৈয়বুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে একটি ট্রেন চট্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যাচ্ছিল। এসময় ক্রসিং দিয়ে রেলপথ পার হচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সা। চলন্ত ট্রেনটি অটোরিক্সাকে সরাসরি ধাক্কা দিলে, অটোরিকশাটি ট্রেনের সাথে আটকে পড়ে। অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যাত্রীরা পিষ্ট হয়ে যায়। এতে তাদের শরীরের অংশ ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে রেললাইনের ছড়িয়ে পড়ে। অবিলম্বে ট্রেন পারাপার স্থানে রেল গেইট স্থাপন সহ স্থায়ী ভাবে গেইটম্যান নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর