বিডি প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে পর্যটকের আগমন ঘটেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। প্রতিটি পয়েন্টে সমুদ্রস্নান ও আনন্দ মেতেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তবে আগত পর্যটকদের সিংহভাগই স্থানীয়। হোটেল হোটেল গুলো এখনো ফাঁকা। হোটেল মালিকরা বলছেন ধারণক্ষমতার ৩০ শতাংশ পর্যটক এসেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অনেক পর্যটক আগমনের আশা করছেন হোটেল মালিকরা। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।এমনিতেই বর্ষা মৌসুম, তাই কক্সবাজারে পর্যটক আগমন নিয়ে শঙ্কা ছিল সবারই। কোরবানির ঈদে ছুটিতে সৈকতে গড়ে ৩০/৩৫ হাজার পর্যটক ভিড় করেছে প্রতিদিন। অন্যান্য বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে প্রতিদিনই লাখের অধিক পর্যটকের উপস্থিতি থাকলেও এবার সেই তুলনায় একেবারেই কম। হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নেতারা জানান এবার আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। তারা আশা করছেন সামনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভীড় বাড়তে পারে।কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারে ধারণ ক্ষমতার ৩০% পর্যটক রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকের আগমনের হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্টে অনেক পর্যটকের সাথে কথা হয়, আগত পর্যটকদের সিংহভাগই স্থানীয়। স্থানীয় পর্যটক ইকরাম চৌধুরী টিপু, আব্দুল আজিজ, মাইনুদ্দিন হাসান সাহেদ ও আহমদ গিয়াস বলেন, বাইরের পর্যটক না থাকার কারণে তারা খুব ভালোভাবে সৈকতে আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন। তবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বাইরের পর্যটক আশা খুবই জরুরী বলিও মনে করেন তারা।
সী-সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সুপারভাইজার সাইফুল্ল্যাহ সিফাত বলেন, ঈদের দিন পর্যটকের আগমন ছিল হাতেগোনা। তবে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখছি দলে দলে প্রতিটি পয়েন্ট দিয়ে পর্যটকরা সৈকতের নোনাজলে নামছে। উত্তাল সাগরে গোসলে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টাওয়ারে বসে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বালিয়াড়ি টহলরত এবং পানিতে লাইফ বোট নিয়ে কর্মীরা সর্বদা দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোন ধরণের দূর্ঘটনা ঘটেনি।
কক্সবাজারে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বমানের সী এ্যাকুরিয়ামে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিয়েছে এর কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারে যারা বেড়াতে আসেন তাদের জন্য এই সী এ্যাকুরিয়াম অন্যতম আকর্ষণ। এই এ্যাকুরিয়ামে দর্শনার্থীরা দেখতে পায় সাগরতলের রহস্যময় জগতের বিভিন্ন প্রজাতির জীব বৈচিত্র্য।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড পরিচালিত এই সী এ্যাকুরিয়ামে এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য ১০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট রয়েছে। সাড়ে তিন ফিটের নীচের শিশুদের জন্য এই এ্যাকুরিয়াম পরিদর্শন ফ্রী রাখা হয়েছে। কক্সবাজার
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী এ বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথাটি জানান।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, আগত পত্রের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল। হিমছড়ি ইনানী সহ সৈকতের বিভিন্ন স্পটে দহল দিচ্ছে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। এই পুলিশ কর্মকর্তার মতে সৈকতে বর্তমানে ৩০ হাজারের মতো পর্যটক অবস্থান করছে।
বর্ষা মৌসুমে ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের
কক্সবাজারমুখী করতে ৫ শতাধিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোতে চলছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়।