বিডি প্রতিবেদক :
উখিয়ায় অভিযান চালিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ ক্রিস্টাল মেথ আইসের চালানসহ চার মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব; আটকদের মধ্যে মাদক পাচারকারি চক্রের অন্যতম হোতাসহ পুলিশের বহিস্কৃত সাবেক এক সদস্যও রয়েছে।
এতে উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ কেজি ২০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল উখিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছিল।
রোববার দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আটকরা হল- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ওরফে ইরান মাঝি (৩৩) ও তার ভাই মোহাম্মদ রুবেল ওরফে ডাকাত রুবেল (২৬), রাজাপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আলী আহম্মদের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৫) এবং টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে কালাবদা (৩৭)।
এদের মধ্যে মোহাম্মদ ইমরান ওরফে ইরান মাঝি সীমান্তে মাদক পাচারকারি চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ৭ টির বেশী মামলা রয়েছে।
আর মো. আলাউদ্দিন তার সহযোগী এবং মাদক পরিবহনের অভিযোগে পুলিশের বহিস্কৃত সাবেক সদস্য। আটক অন্যরা ইরান মাঝির সহযোগী।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শনিবার রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহকাটা এলাকায় জনৈক ব্যক্তির বাড়ীতে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মাদকের বড় একটি চালান মজুদের খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক নির্মাণাধীন পাকা ভবনটি ঘিরে ফেললে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৭/৮ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
” পরে আটক মোহাম্মদ ইমরান ওরফে ইরান মাঝির নির্মাণাধীন পাকা ভবনের নির্মাণ সামগ্রীর স্তুপের নিচে মাটি চাপা অবস্থায় পাওয়া যায় ২৪ কেজি ২০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১২০ কোটি টাকা। ”
এটি দেশে এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ক্রিস্টাল মেথ আইসের সর্ববৃহৎ মাদকের চালান বলে দাবি র্যাবের এ কর্মকর্তার।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ” আটক মোহাম্মদ ইমরান ওরফে ইরান মাঝির নেতৃত্বে উখিয়া সীমান্তে ১০/১২ জনের একটি মাদক পাচারকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। চক্রটি সীমান্তে দূর্গম পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান আনার পর কক্সবাজার ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে আসছিল। উদ্ধার করা মাদকের চালান বিলি-বন্টনের জন্য ইরান মাঝির বসত ঘরে মজুদ করা হয়েছিল। ”
” আটকদের মধ্যে মো. আলাউদ্দিন নামের পুলিশের বহিস্কৃত সাবেক এক সদস্য রয়েছে। গত ২০১৭ সালে মাদক পরিবহনের অভিযোগে পুলিশ বিভাগ তাকে বহিস্কার করে। এরপর থেকে সে ইরান মাঝির সঙ্গে মাদক চক্রের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। তারা পরস্পর নিকটাত্মীয়। ”
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এ পরিচালক।