শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) এডিশনাল এসপি আবুল কালাম চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত কবির আহমদের ছেলে আবদুল মালেক (৪৭), তার ভাই কলিম উল্লাহ (৩৫), একই এলাকার মৃত ফোরকান আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৭), মো. শফিউল্লাহর ছেলে হাসান শরীফ লাদেন (২০), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ শাহিন (২৩), মাহাবুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২০), মাহমুদুল হকের ছেলে আব্দুল হাই (২৪) ও তার ভাই আবদুল আজিজ (২৫)।

র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) এডিশনাল এসপি আবুল কালাম চৌধুরী জানান- কক্সবাজারের পিএমখালী’সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ সকল সন্ত্রাসীরা বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার ফলে দেশী-বিদেশী অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তাদের দৌরাত্ম দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের জানমালের রক্ষার্থে বর্ণিত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে শুক্রবার ভোররাতে সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নস্থ মাইজপাড়া এলাকায় সেনা বাহিনীর সমন্বয়ে একটি বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দলের মূলহোতা মালেকসহ আটজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের হেফাজত হতে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৩টি ওয়ানশুটার গান, ২টি এলজি পিস্তল, ৪৮ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি ম্যাগাজিন, ৫টি দামা, ২টি কিরিচ, ১টি চাইনিজ কুড়াল এবং ১টি চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার কৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।