শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

চকরিয়া উপজেলার প্রশাসনের জায়গা দখলে নিল আদালত ভবনের কর্মচারী ও আইনজীবিরাঃহেনস্তা হলো সাংবাদিক

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

চকরিয়া  প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রশাসনের খালি জায়গাটি প্রয়োজন বোধে পরিকল্পিত ভাবে দখল করতে নামে আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবিরা।এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বাঁধা দিলে শুরু হয় তুমুল বাকবিতন্ডা।এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে ঠেলাঠেলি হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক কে এম নাসির উদ্দিন পেশাগত দায়িত্ব পালন করার লক্ষ্যে ছবি,ভিডিও নেওয়ার চেষ্ঠাকালে তাকে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চকরিয়ায় কর্মবত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিচার দাবী জানান সাংবাদিকেরা। আহত নাসির উদ্দিন কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি। জানা যায়, বুধবার বেলা ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ‘চকরিয়া আদালত ভবনের সম্ভাব্য স্থান’ ব্যানার দিয়ে স্থানীয় আইনজীবী ও মুহুরীরা টিনের ঘেরাবেড়া দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পেশাগত কারণে ছবি তোলতে গিয়ে সাংবাদিক কেএম নাসির উদ্দিনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। আহত নাসির উদ্দিন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় চকরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে বাঁধা দিয়ে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এই হামলার সাথে জড়িতদের বিচার দাবী জানান। এ ঘটনায় চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু থেকে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এদিকে, চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার পরেশ কান্তি দে জানান, কতিপয় ব্যক্তি আদালত সংলগ্ন আদালতের জমি দখল করতে ইট বালি স্তুপ করে আদালত ঘেঁষে খুঁটি দেয়া শুরু করলে, আদালতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ আদালতের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দখল কাজে বাঁধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে অরক্ষিত জায়গা সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে আদালত ও আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ টিনের বেড়া দিয়ে আদালতের জমি বেদখল হতে রক্ষা করেন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া আদালত ভবনের নামে আলাদা কোন জমি নেই। উপজেলা পরিষদের নামে ১৯৬৫ সালে অধিগ্রহণ করা ১২ একর জমি রয়েছে। ওইসব জমির মধ্যে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ভবন রয়েছে। আদালত ভবনের জমিটিও উপজেলা পরিষদের নামে অধিগ্রহণ করা। বিএস জরিপের সময় বিআরডিবি’র নামে ৮২ শতক জমি রেকর্ড হয়। উপজেলা পরিষদ এই ভুল জরিপের বিরুদ্ধে আদালতের শরপান্ন হবে। তাছাড়া বিআরডিবি অফিসও উপজেলা পরিষদের আওতাধীন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর