বিডি প্রতিবেদক :
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন কক্সবাজার সিটি কলেজ কর্তৃক শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান না করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র সমন্বয়করা জেলা প্রশাসক বরাবরের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কলেজ অধ্যক্ষ বলেছেন মাউশি থেকে যে ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সেই নির্দেশনা মতে কাজ করেছি। তবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে কক্সবাজার সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে, কিন্তু কক্সবাজার সিটি কলেজ এ বছর কোন শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেনি, অথচ অতীত বছরগুলোতে এই কলেজ অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছিল।
জেলা প্রশাসক বরাবরের দায়েরকৃত অভিযোগে সিটি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধি রিয়াদ মনি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিয়া, আব্দুল নবী, সাইফুল ইসলাম সাগর, মার গোব মোরশেদ, সাজ্জাদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী রাহাত ও ছমিরা আবেদীন আঁখি স্বাক্ষর করেছেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক রিয়াদ মনি বলেন, সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন শহীদদের সম্মান জানায়নি সেটা আমরা জানতে চাই।
আরেক অন্যতম সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিয়া বলেন, প্রতিবছর শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হলেও এ বছর কোন রহস্যের কারণে দেওয়া হয়নি। আয়োজনের সাথে যেসব শিক্ষকরা দায়িত্বে ছিলেন, তারা কি জুলাই আগস্ট বিপ্লবকে মেনে নিতে পারেনি এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এর কারণ জানতে চেয়েছি।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছামিরা আবেদিন আখি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি না জানানোর কারণে আমরা এই কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদেরকে খুব ছোট মনে করছি। কেন শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়নি। অথচ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করেছে কলেজ। কিন্তু শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়নি।
জেলা প্রশাসক মোঃ সালাহউদ্দিন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পত্র টি গ্রহণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন বলে সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিয়া জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং বলেছেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেই মতে আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছি।
তবে ফুল দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যক্ষ।