জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৩২হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে চিবিয়ে খাওয়া আখ চাষে আশানুরূপ বাম্পার ফলন।ফলে কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি।চিনি,গুড় উৎপাদনের প্রধান উদ্ভিজ্জ উপদান হলো আখ।
চকরিয়ার ১৮ টি ইউনিয়নে আবাদি জমিতে অন্যান্য চাষের চেয়ে আখ চাষীরাই বেশী লাভবান বলে জানান চাষিরা।
জানা গেছে, চকরিয়ার ১৮ টি ইউনিয়নে আবাদি জমির পরিমান ২২২২৩ হেক্টর।তৎমধ্য অধিকাংশ জমিতে আমণ ও বোরো ধানের চাষ হয়।পরে ঋতুভেদে সবজি চাষ হয় প্রায় ১৫’শ হেক্টর জমিতে।তাছাড়াও বরইতলী ইউনিয়নটি বলা হতো গোলাপের রাজ্য।এখানে যুগ-যুগ ধরে ব্যাপক হারে গোলাপ চাষ করতো কৃষকেরা।বর্তমানে কৃত্রিম(প্লাস্টিক) ফুলের উৎপাদন ও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গোলাপের চাষ এখন হুমকি আর বিলুপ্তির পথে।তাই গোলাপ চাষ বাদ দিয়ে কৃষক ধাবিত হয় সবজি,তামাক চাষে।এতেও আশানুরূপ প্রতিফলন না পেয়ে কিছু কৃষক আখ চাষের দিকে মনোযোগী হয়ে আখ শুরু করেন।শুরুতে আখ চাষিরা আশানুরূপ বাম্পার ফলন সহ ন্যায্য দাম পেয়ে মহাখুশি।
কক্সবাজারের ৮উপজেলার মধ্য চকরিয়ার আখ চাষের জন্য কৃষি উর্বর মাটি।এই মাটিতে আখ চাষে লাভ সহসায় সম্ভব।ফলে চাষীরা ঋতুভেদে বিভিন্ন কৃষিজ উৎপাদন ফলনের চেয়ে আখ নিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে আখচাষিরা। আষাঢ়- শ্রাবণ মাস অতিক্রম হতে চললেও বছরের এ মৌসুমে ভারী বর্ষণ না হওয়ায় চকরিয়ায় বন্যার প্রকোপ দেখা যায়নি। ফলে এ মৌসুমে কৃষকরা আখ চাষে সুফল পেয়েছেন।
চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরথ দে জানান,বিভিন্ন সবজি চাষের চেয়ে এবার আখ চাষ করে বাম্পার ফলন সহ ভাল লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছি।অনাবৃষ্টির কারণে এ মৌসুমে আমণ ধানে আশানুরুপ ফলন আসেনি বলেও তিনি জানান।
চকরিয়া উপজেলার উন্নয়ন শাখার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব দে জানান,চকরিয়া উপজেলায় ২২২২৩ হেক্টর জমিতে বোর ধান,আমণ ধান, বিভিন্ন প্রকার সবজি ও রবি শস্যের চাষ হয়। এর মধ্যে এ মৌসুমে ৩২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে।সুতরাং আখ চাষ বাড়ানোর ক্ষেত্রে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষিজ উৎপাদনের মধ্যে আখ একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে স্থান করে নিবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন জানান তিনি।দেশে চিনির চাহিদা মেটানোর পরও ইক্ষুকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আখের যোগান দিতে পারলে চিনি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাছিম উদ্দিন বলেন,উপজেলাতে ৩২হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে।চাষ রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছি।