বিডি বিনোদন প্রতিবেদক :
অভিনেত্রী সোনালী ফোগাটের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এলো নতুন তথ্য। সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবর, সোনালীকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তারই ব্যক্তিগত সহকারী অভিযুক্ত সুধীর সাঙ্গওয়ান।জেরায় সুধীর জানিয়েছেন, অভিনেত্রীকে হত্যার ছক কষেছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, ফটোশুটের নাম করে গুরুগ্রাম থেকে গোয়ায় সোনালীকে নিয়ে যান সুধীর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সূত্র বলেছেন, ‘‘গোয়ায় ফটোশুটের কোন পরিকল্পনাই ছিল না। মূলত সোনালীকে হত্যা করতেই ছক কষেছিলেন সুধীর ও তার সহযোগীরা। পুলিশি জেরায় এ কথা বলেছেন সুধীর।’’গত ২৩ আগস্ট গোয়ায় মৃত্যু হয় সোনালীর। প্রথমে জানা যায়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা। এরপরই সোনালীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে।তদন্তে নেমে সোনালীর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর ও আরও এক সহযোগী সুখবিন্দর সিংহ, এক রেস্তোরা মালিক এডউইন নুনেজ এবং সেই সঙ্গে দত্তপ্রসাদ গাওঁকর ও রামদাস মান্দ্রেকর নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। জানা গেছে, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে গোয়ায় একটি রেস্তোরায় ছিলেন সোনালী। গোয়ার সেই রেস্তোরার সিসিটিভি ফুটেজও পেয়েছে পুলিশ।
যেখানে দেখা গেছে, এলোমেলো পা ফেলে রেস্তোরা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন সোনালী। ঠিক মতো হাঁটতেও পারছিলেন না তিনি। দেখা গেছে, সহকারীর কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
মূলত সোনালীর খাবার পানীয়ের মধ্যে অভিযুক্তরা ১.৫ গ্রাম ‘এমডিএমএ’ নামক এক ধরনের মাদক মিশিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই মাদক মেশানো পানীয় পান করার পরই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন সোনালী। তাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া পানির বোতলেও ওই মাদকের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।