শিরোনাম :
মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত মায়ের ডাক’র সমন্বয়ককে তুলে নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ কৃষকের ফসল নষ্ট, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব সহ ৭৬ জনের নামে মামলা বদির ‘আন্তর্জাতিক ক্যাশিয়ার’ ফারুককে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান, দুর্বৃত্তদের হামলা মাহমুদুর রহমানের কারাগারে যাওয়া নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল কীভাবে ভারতে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী টেকনাফের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষাসহ ১২দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী বৈষম্য মুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহর স.- আদর্শই একমাত্র পথ “-মুহাম্মদ শাহজাহান

সংসদ জাফরের সাথে তর্ক : আ.লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক : চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেয়া নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের সাথে তর্ক হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার সাথে। পরে তর্কাতর্কির জের ধরে ওই আওয়ামীলীগ নেতার উপর হামলা চালায় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমের অনুসারীরা।
এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য এএসএম আলমগীর হোছাইন। গতকাল রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চকরিয়ার এক কমিউিনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। এসময় মঞ্চে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলের নেতাকর্মীরা জানান, রবিবার চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সম্মেলন চলাকালিন সময় উপজেলার আওয়ামীলীগের সদস্য এসএম আলমগীর হোছাইন বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওইসময় সংসদ সদস্য জাফর আলম বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে তাকে জানিয়ে দেন। এক পর্যায়ে কেন বক্তব্য দেয়া যাবেনা জানতে চান আলমগীর।

এসময় সংসদ সদস্য জাফর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীরের মা-বাবার নাম ধরে গালিগালাজ ও থাপ্পড় মারেন। পরে সংসদ সদস্যের অনুসারীরা আরমগীরের উপর হামলা চালায়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে বিকাল ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আহত আওয়ামীলীগ নেতা এসএম আলমগীর হোছাইন বলেন, পরিকল্পিতভাবে সংসদ সদস্য জাফর আলম তাকে মারধর ও হামলা করেছে। পরে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে সংসদ সদসস্যের অনুসারীরা। তারা আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করেছে। এতে মারাত্মক আহত হই।
তিনি আরও বলেন, আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে তার পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। আমি এ হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছের বিচার দাবী করছি।
মারধরের বিষয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনজিত দাশ বলেন, দলের একজন নেতা বক্তব্য দেওয়া নিয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলমের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করেছেন। নেতা-কর্মীরা পরে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন। এ সময় কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এদিন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
এদিকে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পরে বেলা তিনটায় চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক পদে লায়ন আলমগীর চৌধুরী নির্বাচিত হন। জাহেদুল ইসলাম লিটু আগের কমিটির সভাপতি ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং চকরিয়া ও মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম সদস্য রনজিৎ দাশ বলেন, এখানে সাংসদ জাফর কাওকে মারধর করেনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার জন্য বাড়াবাড়ি করছিল । একসময় সেই নেতাই মঞ্চের সামনে এসে মারমুখী অবস্থান নেয়। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে সরিয়ে দেয়।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর