সাকলাইন আলিফ :
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। নিম্নচাপ আর পূর্ণিমার তিথির কারণে কক্সবাজারের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দু তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
রবিবার থেকে কক্সবাজারে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলার গুলো উপকূলে নোঙ্গর করে আছে। সমুদ্র সৈকত এলাকায় লাল পতাকাটা দিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করছে টুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা। সবগুলো মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে পূর্বে ফিরে এসেছে বলে কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতি জানিয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ মিয়া জানিয়েছেন,বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ টি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সময় পূর্ণিমার তিথি থাকার কারণে সাগর প্রচন্ড রকমের উত্তাল হয়ে উঠেছে। নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে মাঝেমধ্যে ঝড়ো হওয়া বয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সাগরে নিম্নচাপ থাকার খবরটি আগে থেকে জানার কারণে সবগুলো মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে এসেছে। কিছু ট্রলার থাকলেও সেগুলো এখন ফিরে আসতেছে।
সাগর উত্তল থাকার পাশাপাশি পূর্ণিমার তিথি থাকার কারণে জ্বরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, গতরাতে ও আজ সকালে সেন্ট মার্টিনি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়।
কক্সবাজারের আবহাওয়া অফিস ২৪ ঘন্টায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।