জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের উপজেলাস্হ একমাত্র ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল”চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।উক্ত হাসপাতালে নেই গাইনী বিশেষজ্ঞ সার্জন,নেই ইর্মাজেন্সি অপারেশন থিয়েটার (ওপিটি)।তবুও ডিপ্লোমায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলা চিকিৎসক দ্বারাই সেবা নিতে যাওয়া হতদরিদ্র পরিবারের প্রসূতি মা’কে ঝুঁকিহীন সেবাদানে গেল ৮মাসে নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে ১হাজার ১শত ৪১ নবজাতক(শিশু)।ফলে সেবা নিতে যাওয়া গর্ভবতী হতদরিদ্র পরিবারেরা মহাখুশি।এতে সেবা প্রাপ্তির সুনাম উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।যে কারণে দিন-দিন হাসপাতালটিতে বাড়ছে প্রসূতি রোগী।চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষে নিরলস পরিশ্রমে ডেলিভারি বিভাগে সুনাম অক্ষুন্নে সাফল্যেতা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন গেলে,নাম প্রকাশে অইচ্ছুক কয়েকজন ডেলিভারি প্রসূতি মায়েরা জানান,টাকার অভাবে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি।আসার পূর্বে মানুষের নানান কথায মনে চরম ভয়ে কাজ করে।তবুও নিরুপায় হয়ে জান বাঁচাতে আসি।এখানে এসে দেখলাম,কর্মরত চিকিৎসকেরা খুব যত্মের সাথে আমাদেরকে সেবা দিয়েছেন।যে কারণে আমাদের নরমাল ডেলিভারি হয়েছে।এতে আমরা মহা খুশি।একদিকে আল্লাহ সহায় হন,অপরদিকে চিকিৎসকের প্রচেষ্টার ফসল আমরা পেয়েছি।তবে এখানে এসে জেনেছি,হাসপাতালে ওপিটি নেই,সার্জনও নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ পলাশ সুশীল দেওয়া তথ্যমতে-২০২২সালের গেল ৮মাসের মধ্য নরমাল ডেলিভারিতে সফলতা হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ।যেমন-জানুয়ারী-১৪৫,ফেরুয়ারীতে-১১৫,মার্চে১৬২,এপ্রিলে-১৫৮,মে’তে-১৬৪,জুনে-১৫৭,জুলাই-১৫৫ ও আগষ্টের ১২৫জন সহ মোট নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা দাড়াঁয়র১হাজার ১শত ৪১জন।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনর্চাজ ও পরিবার পরিকল্পনার পরিদর্শক ডাঃ শোভন দত্ত বলেন,হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় রুপান্তর করলেও,এখনো গাইনী বিভাগের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ সার্জন নেই।তাই ৪বছরের সরকারী কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডিপ্লোমা ইন মহিলা চিকিৎসক দিয়েই গর্ভবতী মহিলাদেরকে সাধ্যমত সেবা আমরা দিচ্ছি।গেল আট মাসের মধ্য সাড়ে ১১শত নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে।তবে হাসপাতালে নেই ওপিটি,নেই সার্জন।বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদেরকে ইর্মাজেন্সি সেবাদানের জন্য গাইনী সার্জন ও ওপিটি খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই রোগীদের উন্নত সেবাদানের স্বার্থে বিশেষজ্ঞ সার্জন ও ওপিটি সহ সরঞ্জাম পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।