সাব্বির আহমেদ সুবীর :
কনজাংটিভাইটিসের(চোখ ওঠা) সিজন এখন। চারদিকে প্রচুর লোকজন আক্রান্ত এই রোগে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন হাত, চোখ পরিষ্কার রাখতে। পরিষ্কার করা ছাড়া চোখে হাত দিবেন না। চোখকে ধুলাবালি থেকে মুক্ত রাখুন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু সাথে রাখুন। আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসা পরিহার করুন। এটি কিন্তু অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে।
চোখ ওঠা রোগে কী করবেন?
চোখের সাদা অংশটি লালচে হলে, চোখ দিয়ে পানি পড়লে, প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস বলে।
চোখ ওঠার লক্ষণ ও উপসর্গ
১. চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া;
২. চোখের পাতা ফুলে যাওয়া;
৩. চোখ দিয়ে পানি পড়া;
৪. চোখে জ্বালাপোড়া করা, খচখচ করা;
৫. ঘুম হতে ওঠার পর চোখের দুই পাতা একসঙ্গে লেগে থাকা;
চিকিৎসা :-
১. হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতাগুলো খোলা রাখতে হবে।
২. চোখে কালো চশমা পরতে পারেন।
৩. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খান।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:-
১. যখন আপনার চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা পদার্থ বের হয়;
২. চোখ ব্যথা থাকলে;
৩. চোখে ঝাপসা দেখতে পেলে অথবা দেখতে সমস্যা হলে;
৪. চোখের সাদা অংশ ফুলে উঠলে কিংবা লাল হয়ে গেলে।
যা করবেন না :-
১. চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া কোন ধরণের চোখের ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করবেন না।
প্রতিকার :-
১. চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করুন।
২. চোখে হাত দেবেন না;
৩. ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ভালোমতো পরিষ্কার করুন;
৪. যেসব জিনিসে অ্যালার্জিক তা থেকে দূরে থাকুন;
৫. সাথে জ্বর সর্দি কাশি থাকলে তার চিকিৎসা নিন।
৬. আক্রান্ত হলে ঘরে বিশ্রাম নিন।
আক্রান্ত ব্যক্তির সবসময় চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করা, সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু/রুমাল রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি। কনজাংটিভাইটিস কিন্তু অতিমাত্রায় ছোয়াছে তাই হাত সবসময় পরিষ্কার রাখা এবং ব্যবহৃত রুমাল/টিস্যু যেখানে সেখানে না ফেলায় উত্তম।