এস এম হুমায়ুন কবির :
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার হতদরিদ্র এক প্রবাসী পরিবারের শত বছরের বসত ভিটে নিয়ে কুচক্রী মহলের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ জানিয়ে ভুক্তভোগী মোতাহের আহমদের পরিবার ও এলাকাবাসী সাংসদ কমলের মানবিক জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পূর্ব জুমছড়ি এলাকার মালেশিয়া প্রবাসী মোতাহের আহমদের স্ত্রী জাহেদা বেগম জানান,এক শত বছরের ও পূরনো ভিটে বাড়ী। যে ভিটায় তিন পুরুষের বসবাস। সেই ভিটায় মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয় মাটির বসতঘর টি বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে আকস্মিক ভেঙ্গে যায়।এতে মোতাহের আহমদের মাসুম শিশু আয়াত মাটি চাপা পড়ে এবং পরিবারের অপরাপর সদস্যরা ও কম বেশি আহত হয়।ঘোর বর্ষায় অবিরাম বৃষ্টিতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন হতদরিদ্র মোতাহের আহমদের পরিবার। এলাকাবাসী প্রবাসী মোতাহের আহমদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। কেউ কাঠ,কেউ বাঁশ আবার কেউ টিন দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ায়।হতদরিদ্র মোতাহের আহমদের ভেঙে পড়া মাটির ঘরের ভাঙা দেওয়ালের মাটি সরিয়ে ঘর নির্মানের প্রস্তুতি চলছিল তখনই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আত্নীয়তার লেবাসধারী চিহ্নিত মহল পাহাড় কাটার মিথ্যা অপবাদ রটায়।ষড়যন্ত্রকারীরা বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাহাড় কাটার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। জীবিকার তাগিদে পরিবারের কর্তা মোতাহের আহমদ সুদুর মালেশিয়ায় প্রবাসে থাকায় মোতাহের আহমদের স্ত্রী জাহেদা বেগম অবুঝ সন্তানদের নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে চরম মানবেতর দিনাতিপাত করছে।
মোতাহের আহমদের স্ত্রী জাহেদ বেগম জানান,এই ভিটায় তারা বসবাস করছে ৪ যুগ ধরে। মোতাহের আহমদের বাপ-দাদারা ও এই বসতভিটায় মৃত্যুবরণ করেছে।প্রবাসী মোতাহের আহমদের স্ত্রী জাহেদা বেগম আরো জানান, তার স্বামী ও ওয়ারিশগন যে ভিটায় শত বছরের বেশি বসবাস করে আসছে সেই বসত ভিটায় বন বিভাগের মালিকানা দাবী করে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকদফা চাঁদা ও নিয়ে গেছে ঘিলাতলি বনবিটের হেডম্যান পরিচয়দানকারী জনৈক মাঝির কাটা এলাকার মৃত আমিন উল্লাহর পুত্র জয়নাল। এখন আবার জয়নাল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করছে। না দিলে বন বিভাগের মাধ্যমে মামলায় জড়িয়ে দেবে বলে ও শাসিয়ে গেছে কথিত বনবিভাগের সোর্স জয়নাল।
পূর্বজুমছড়ি এলাকার প্রবীণ মুরব্বি গোলাম কাদের জানান,ঘরবাড়ী ভেঙে যাওয়ায় মোতাহের আহমদের পরিবার এখন চরম অসহায়। সেখানে দরিদ্র মোতাহের আহমদের পরিবার কে আর্থিক,মানষিক হয়রানি করছে চিহ্নিত কুচক্রী মহল।
মোতাহের আহমদের ১০ বছরের কণ্যা রিজিয়া বেগম জানান,লাখ লাখ রোহিঙ্গা কে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে আমার বাপ-দাদার শত বছরের বসতভিটা নিয়ে চিহ্নিত মহল বিশেষের এমন নোংরামির কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবী।
প্রতিবেশি ছকিনা,ফরিজা বেগম,গোল আরজ বেগম,ছিদ্দিক আহমদ,ফরিদুল আলম জানান,কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে নিঃস্ব মোতাহের আহমদের পরিবার এখন দিশেহারা। প্রবাসী মোতাহের আহমদ জানান, ষড়যন্ত্রকারীদের করল থেকে তার অসহায় পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই বসতভিটা রক্ষায় কক্সবাজার সদর,রামু ও ঈদগাহ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।