বিডি প্রতিবেদক চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাচার ইচ্ছাকৃত অবহেলায় আকস্মিক সিত্রাংনের তান্ডবে গাছ পড়ে ভাতিজার বসতবাড়ী সহ আসবাপত্র লন্ডভন্ড হয়েছে।এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংনের হানা দিলে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে এঘটনা ঘটেছে।
ভূক্তভোগি ও অভিযোগকারী ফয়সাল ছিদ্দিক (৩০) খুটাখালী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে।
অবাধ্য চাচা আমির হামজা লালু একই স্হানের বাসিন্দা।
ভূক্তভোগি ফয়সাল জানান,আমি আমার চাচাকে দীর্ঘ ১বছর যাবৎ আমার বসতবাড়ীর দুইহাত উপরে লাগোয়া কাঠাঁল গাছটি কেটে ফেলার জন্য অনুরোধ করি।কথা না শোনায় গেল মৌসুমে কাঠাঁল ঝড়ে পড়ে ঘরে টিন নষ্ট হয়ে যায়।তখনও আমি নিজের টাকা দিয়ে ঘর রক্ষায় গাছটি কাটার জন্য বলি।তখন থেকে আমি চাচার শক্র হয়ে গেলাম।আমি ডাকলেও ছাড়া দেয়না।এভাবে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণের গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংনের তান্ডবে গাছটি ভেঙ্গে পড়ে আমার বসতবাড়ী সহ ঘরে থাকা ২টি ফ্যান,১টি ফ্রিজ,১এলএডি টেলিভিশন,১টি খাট ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।এই সময় আমি ঢাকা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের খবর নিতে স্ত্রীর কাছে ফোন দিই।এমতাবস্থায় আমার স্ত্রী ভয়ে আমার দুই সন্তান নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে উঠানের অপরপাশের বাড়ীর দরজায় যেতে না যেতে গাছটি পড়ে সব শেষ।এতে আমার প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি লালু থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে,তিনি জানান,ঘূর্ণিঝড়ে গাছটি ভেঙ্গে তার ঘরে উপরে পড়েছে।এটি প্রাকৃতিক দোষ।এখন আমার উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে লাভ কি?তাছাড়া ছেলেটি এলাকার খারাপ লোক।তাই তার ক্ষতি নিয়ে আমার মাথার কি দরকার বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।
তাই অভিযোগের সত্যতা নিরুপনে সরেজমিন যায়।এসময় ঐ সমাজের সর্দা সহ কয়েকজন মান্যগণ্য বক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।তখন দেখি অভিযোগকারী অভিযোগ সত্য।তখনও অভিযুক্ত লালুও সেখানে উপস্হিত থেকেও হ্যাঁ,না কোন জবাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অইচ্ছুক সমাজের সর্দারেরা জানান,গাছ পড়ে লালুর ভাতিজা ফয়সাল ক্ষতিগ্রস্হ।তবে লালু আমাদের কারো কথা শোনেনা বিধায় এর স্হানীয় ফায়সালা দিতে অপারগ।তাদের যা ইচ্ছে তারা তাই করুক বলে জানিয়েছেন।