বিডি বিনোদন :
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মাহিয়া মাহি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
বর্তমানে এই নায়িকা নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ কারণে গত প্রায় ছয়মাস ধরে মাহিয়া মাহি কোনো সিনেমার শুটিং করছিলেন না। গত আগস্টে মাসে মাহি অভিনীত ‘আশীর্বাদ’ এবং অক্টোবরে ‘যাও পাখি বলো তারে’ দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
দুটি সিনেমারই পরিচালক ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে মাহি অভিনীত ছবি ‘বুবুজান’। মাতৃত্বকালীন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন থেকে দূরে থাকায় নতুন কোনো সিনেমা হাতে নেননি মাহি। তবে তার শুটিং সম্পন্ন হয়ে থাকা বদিউল আলম খোকনের পরিচালনায় আরেক ছবি ‘অফিসার’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ছবির নায়ক ডিএ তায়েব জানান, মাহির পুরো কাজ শেষ। কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে।
‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবি মুক্তির আগে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে মাহি জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা, তাই আপাতত সিনেমা থেকে বিরতি নিচ্ছেন।
তবে সিনেমা থেকে দূরে থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপনির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ চালান। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন কিনেও নৌকার টিকেট পাননি। তবে বসে থাকেননি, মাতৃত্বকালীন ছুড়ে বেড়িয়েছিলেন চাঁপাই এলাকায়। তখন বলেছিলেন, তিনি আগামীতেও নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে মাহি বলছিলেন, জানুয়ারিতে উপনির্বাচনে দৌড়াদৌড়িতে শারীরিক ধকল গেছে।
”যেহেতু ঘরে নতুন অতিথি আসবে তাই এখন তিনি নিজের যত্ন নিচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে পরিবারের সবাই তার বেশি বেশি যত্ন নিচ্ছে। নিজেও নিজের দিকে সব সময় খেয়াল রাখছেন। ভেতরে বাচ্চার শ্বাসপ্রশ্বাস যেন টের পাচ্ছেন। নতুন প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন। মহা আনন্দের দিনের অপেক্ষা যেন আর তর সইছে না।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সরকারকে গ্রেপ্তারের পরপরই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামী মাহির স্বামী রাকিব সরকার পলাতক আছেন। শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে মাহিয়া মাহির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফেসবুক লাইভে গিয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সরকার ও তার স্বামী রকিব সরকার মানহানিকর তথ্য প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন, এমন অভিযোগে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামলাটি করেন।