শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আরসা’র এক সন্ত্রাসী নিহত

নিউজ রুম / ২৫ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আরসা’র এক সন্ত্রাসী নিহত এবং পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে; এসময় অস্ত্র ও গুলিসহ আরসা’র তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের দাবি, নিহত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি আরসা’র কমান্ডার।
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-৮ ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া (৩৫) উখিয়ার তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর আশ্রয় শিবিরের ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হল- উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-১৭ ব্লকের মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) এবং একই ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫) ও মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ’র ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে জানায় পুলিশ।
তবে ঘটনা আহত পুলিশ সদস্য নাম জানা সম্ভব হয়নি।
এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, সকালে উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-৮ ব্লকে জনৈক আমিন মাঝির বসত ঘরের আশপাশে স্থানীয় কয়েকটি ঘরে কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে জড়ো হয়েছে খবরে এপিবিএন এর একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে সন্দেহজনক কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেললে জনৈকা হামিদা বেগমের বসত ঘর এবং আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে ৪০ থেকে ৫০ জন আরসা সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আরসা’র সদস্যরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় এপিবিএন পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে।
” পরে হামিদা বেগমের বসত ঘর থেকে আরসা’র তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার এবং পাশের একটি কক্ষ থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় দেশিয় তৈরী একটি বন্দুক ও দুইটি গুলি। ”
এএসপি বলেন, ” নিহত আরসা’র কমান্ডার আব্দুল মজিদ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সংঘটিত ৪ টি হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। এছাড়া গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ”
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর