বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারে ইয়াবাপাচার মামলায় তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালত এ রায় দেন বলে জানান কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
সাজাপ্রাপ্তরা হল- উখিয়া উপজেলার ১২ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের জি-৩ ব্লকের মৃত আবুল কাশিমের ছেলে মো. কামাল হোসেন এবং ১১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-১৫ ব্লকের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল ও একই আশ্রয় শিবিরের সি-১৩ ব্লকের মৃত কবির আহমদের ছেলে মো. শাকের।
মামলার নথির বরাতে ফরিদুল আলম বলেন, গত ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে টেকনাফ থেকে যানবাহন যোগে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে র্যাবের একটি দল মেরিন ড্রাইভ সড়কের কক্সবাজার শহরের বড়ছড়া এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে। এক পর্যায়ে টেকনাফ দিক থেকে আসা সন্দেহজনক একটি অটোরিকশা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এসময় গাড়িতে থাকা ৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও দুইজন পালিয়ে যায়।
“ পরবর্তীদের গ্রেপ্তারদের দেহ ও গাড়ীটি তল্লাশী করে পাওয়া যায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টি ইয়াবা পাওয়া যায়। “
এ ঘটনায় পরদিন ( ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি ) র্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দাঁয়ের করেন।
পরে গত ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত গত ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ ঘটন করেন। এতে সাক্ষি করা হয় ১৫ জনকে। মামলায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৬ জনের।
পিপি ফরিদুল বলেন, মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এতে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ২ বছর করে সাজারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার রায় ঘোষণাকালে ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।