শিরোনাম :
পেকুয়ায় গুলি বর্ষণের ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা কোস্ট গার্ড ও র্যাবের অভিযান : শাহপরীর দ্বীপ উপকূল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা সহ ৫ ইয়াবা কারবারি আটক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গা সংকটের উপর প্রস্তাব গ্রহণ গভীর সাগরে ভাসতে থাকা ২২ মাঝিমাল্লা সহ ফিশিং বোট উদ্ধার পেকুয়ায় লবণমাঠ দখলে নিতে ফাঁকা গুলি ছুটলো র্দূবৃত্তরাঃআহত-১৬ চকরিয়া ডাকাতি মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ গভীর সাগরে বিকল ১২ জেলে সহ ফিশিং ট্রলার উদ্ধার কক্সবাজারে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি : নিখোঁজ হয়ে মৃত উদ্ধার বিজিবি সদস্য চকরিয়ায় অস্ত্র,মাদক ও টমটম চুরি মামলা মিলে ৪ আসামী গ্রেফতার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ রুম / ৬০ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

বিডি ডেস্ক :
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী জনগোষ্ঠী যারা রয়েছে, তারাই মাঝে মাঝে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঢুকছে এবং হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী যাতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমরা বর্ডার
ফোর্সকে আরও শক্তিশালী করছি। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নটর ডেম কলেজে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত রয়েছে, যেসব এলাকায় কোনো যাতায়াত নেই। নাফ নদে এমন কয়েকটি চরের মতো জায়গাও রয়েছে, যেখানে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের নোম্যানসল্যান্ড রয়েছে। সেখানে তারা অভয়ারণ্য তৈরি করেছে। সেখানে তারা অহরহ যাতায়াত করছে। আমরা সেই জায়গাগুলোর জন্য নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা দুটি হেলিকপ্টার কিনেছি, সারা বর্ডারে সেন্সর লাগাচ্ছি। এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে সমস্যাই সামনে আসছে, সেটি মাথায় নিয়ে সমাধান করছি। আপনারা দেখেছেন, আমাদের একজন সৈনিককেও তারা হত্যা করেছে।
মিয়ানমারে প্রায় ৩০টি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সম্পর্কে আপনারা জানেন, সেখানে শুধু আরাকান আর্মিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেই, বরং সেখানে কুকি-চিনসহ প্রায় ৩০টি গোষ্ঠী সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সেখান থেকেই আসছে। সেখান থেকে আসার কারণে হয়তো এখানে (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে) তাদের দুই-চারজন অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে। এখানে কে নেতৃত্ব দেবে, সেটি নিয়েই সংঘর্ষ হচ্ছে। আজকের (শুক্রবার) ঘটনাটি (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত) আমাদের আরও বিস্তারিত জানতে হবে। ঘটনাটি ঘটেছে, এটি সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আমরা আরও তথ্য জানতে পারব।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর দিনই পাঁচ রোহিঙ্গা হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যত তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফেরত যায়, ততই তাদের দেশের জন্য এবং আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। রোহিঙ্গারা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তা হলে এখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের একটি কেন্দ্রস্থলে পরিণত হতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বিশ্ব ফোরামকে আহ্বান জানাতে চাই। এদের যত তাড়াতাড়ি তাদের নিজ দেশে ফেরানো যায়, ততই মঙ্গল।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর