শিরোনাম :
দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে পেকুয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক আরিফের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল পেকুয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আহত জেলেদের ফেরত আনা নিয়ে যেসব তথ্য জানালেন কোস্টগার্ড বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও দুর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার মিয়ানমারের চেয়ে ভালোভাবে পূজা করতে পারছে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা পরিবেশ সম্মত আধুনিক পর্যটন শিল্প গঠন করে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে-তাহলে বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসবে পেকুয়ায় শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে সর্তক অবস্থানে র‍্যাব,আইনশৃঙ্খলা সুমন্নত রাখা হবে : এ এসপি র‍্যাব ১৫ মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত

দু’রোহিঙ্গা মাঝিকে হত্যার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা : গ্রেফতার-৩

নিউজ রুম / ২৩ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক উখিয়া :
উখিয়ার বালুখালির জামতলী আশ্রয় শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা মাঝি নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ভোর রাত ১টার দিকে উখিয়া থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত মাঝি আবু তালেবের স্ত্রী তৈয়বা খাতুন (৩০)। এতে ৫ জনকে এজাহার নামীয় ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন, জাফর আলমের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭), মৃত সোনা আলীর ছেলে সাহ মিয়া(৩২) ও তার ভাই আবুল কালাম @ জাহিদ আলম (২৫), মৃত রশিদ আহম্মেদের ছেলে জাফর আলম (৫৪) ও তার ছেলে মো.সোয়াইব।
এরা সকলেই জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে।
বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় তিনজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন, সাহ মিয়া(৩২), মো. সোয়াইব (১৯) ও জাফর আলম (৫৪)।
ওসি বলেন, জামতলি এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫ এর সি ব্লকের হেড মাঝি (ব্লকের নেতা) আবু তালেব (৫০) এবং সাবমাঝি সৈয়দ হোসেন (৪৩) এর নিহত হওয়ার ঘটনায় বাদীর দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে (যার নম্বর ৫৩)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আবু তালেব জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি এর মাঝি এবং সৈয়দ হোসেন সাব মাঝি। ৯ আগষ্ট রাতে তারা প্রতিদিনের ন্যায় কাজকর্ম শেষে ব্লক-সি/৯ এর আছিয়া খাতুনের ঘরের সামনে বাঁশের মাচার উপর বসে ব্লকের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিল। সেসময় রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে এজাহার নামীয় আসামীসহ ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারী মুখে গামছা বেঁধে তাদেরকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। এতে আবু তালেবের গলায় ২ টি এবং বুকের পাজরে ১টি ও সাব-মাঝি সৈয়দ হোসেনের গলায় ১টি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের মৃত্যু হয়।
পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ডাবল মার্ডারের সাথে আবুল কাশেমের ছেলে সাব-মাঝি রেজাউল আলম (৪২), জাফর হোসেনের ছেলে সাব মাঝি মোঃ ইয়াছিন এবং ইসমাঈলের ছেলে (ভলেন্টিয়ার) নুর মোহাম্মদ (৩২) জড়িত রয়েছে বলে বাদী সন্দেহ রয়েছে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরান হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার পর বুধবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে নিরাপত্তায় ডি ব্লক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর