সাকলাইন আলিফ :
বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রামে ডুকে পড়া মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থীর মধ্যে একজন অসুস্থ থাকায় ২২ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড করেছে কক্সবাজারের আদালত।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চ্যজ্ঞা এই আদেশ আদেশ দেন।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেল ৬ ফেব্রæয়ারী (মঙ্গলবার) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে রহমতের বিল গ্রামে অনুপ্রবেশ চেষ্টা করে মিযানমারের অস্ত্রধারী কিছু উগ্রপন্থী। তখন তাদেরকে ধাওয়া করে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ২৩ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। এরপর থেকে তাঁরা বিজিবির জিম্মায় ছিলেন। পরে ৯ ফেব্রূযারী বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০ ফেব্রয়ারী তাদের আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রিমান্ড শুনানী হয়। এতে এজাহার নামীয় ১৮ নম্বর অভিযুক্ত মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মো. সাবের অসুস্থ থাকায় তাঁর রিমান্ড না মঞ্জুর করে আদালত। বাকিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশকারি ২৩ জনইবাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গামিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী সেই ২৩ নাগরিকই রোহিঙ্গা। তাদেরবেশিরভাগই উখিয়ার বালুখালীর বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। অন্যরা কুতুপালংসহ বিভিন্ন ক্যাম্পেরবাসিন্দা। তাদের অনেকেই বিভিন্ন মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়েরকরা অস্ত্র মামলার এজাহারে ২৩ জনের নাম-ঠিকানা রয়েছে। তারা হলেন- উখিয়ার আহমদের ছেলে মো.হোসেন আহমদ, একই ক্যাম্পের মো. ইউনুসের ছেলে মো. রফিক, আ. রাজ্জাকের ছেলে আয়াতুল্লাহ, ৯নম্বর ক্যাম্পের মো. রফিকের ছেলে মো. জুনাইদ, একই ক্যাম্পের নুর কালামের ছেলে মো. হারুন, সমসেরআলমের ছেলে মো. কায়সা, রশিদ আহমেদের ছেলে মো. সাবের, ১০ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল্লাহর ছেলেওসামা, একই ক্যাম্পের জাফর আলমের ছেলে ওমর ফারুক, মো. তোহার ছেলে মো. সাদেক, মকবুলআহমদের ছেলে হারুন অর রশিদ, হামিদ হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত, দিল মোহাম্মদের ছেলে মো.ইসমাইল, মো. হোসেনের ছেলে মো. রহিম, ১১ নম্বর ক্যাম্পের আতা উল্লাহর ছেলে নজু মোল্লা, ১৫ নম্বরক্যাম্পের মো. সৈয়দের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ, একই ক্যাম্পের দিল মোহাম্মদের ছেলে হাফেজ আহমেদ, ২০নম্বর ক্যাম্পের মো. রশিদের ছেলে মো. জোবায়ের, কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইউসুফের ছেলেআব্দুল্লাহ, একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হাসেমের ছেলে এনামুল হাসান, ২ ক্যাম্পের ইমামহোসেনের ছেলে মো.রফিক, একই ক্যাম্পের মৃত আবুল কালামের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম এবং ৭ নম্বরক্যাম্পের মৃত মো. জলিলের ছেলে মো. আরমান।
কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহাজাহান এলাহী নূরী বলেন, একজন অসুস্থ বিধায় বাকি ২২ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলে অভিযুক্তদের আলাদা আলাদা ভাবে রিমান্ডে আনা হবে।