নুরুল আলম :
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এপিবিএন পুলিশ আরো কঠোর হবে। ক্যাম্পে খুন খারাবি বন্ধে এপিবিএন পুলিশের টহল আরো জোরদার করার পাশাপাশি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেনএপিবিএন পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিপিএম।
৩ দিন ধরে কক্সবাজারের উখিয়া টেতনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন সমাপ্ত করে আজ সকালে রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডারদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে উখিয়া উপজেলার পালংখালী হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত এপিবিএন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি জানান মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের আভ্যন্তরিন সংঘাত সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাশন সাময়িক দেরি হচ্ছে। যতদিন তারা এখানে থাকবে তাদের নিরাপত্তা বিধানের সার্বিক ব্যবস্থা নিবে এপিবিএন পুলিশ। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো রোহিঙ্গাদের ভরনপোষণ সহ তাদের খাদ্য চিকিৎসা সেবা সহ বিভিন্ন সাহায্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন সাম্প্রতিক কালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন খারাবির মতো অপরাধ হচ্ছে। এসব গুরুতর অপরাধ করছে রোহিঙ্গারাই। তারা নিজেদের মধ্যে নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মারামারি করছে। এ ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এপিবিএন পুলিশ সচেতনতা তৈরির কাজ করছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি লিডার মসজিদের ইমাম এবং ক্যাম্পে কর্মরত ধর্মীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ আমির জাফর বিপিএম, ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ ইকবাল, ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি), মোঃ হাসান বারী নূর, ৮ এপিবিএন সহ-অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) ফজলে রাব্বি, ১৪ এপিবিএন সহ-অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) আরেফিন জুয়েল, উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ এপিবিএনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এপিবিএন প্রধান ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন ব্লকের হেড-মাঝিও সাব-মাঝিদের সাথে ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেন ও ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।