স্টাফ রিপোর্টারঃ
চকরিয়ায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করার পরে ধর্ষণ করেন এক যুবক।ধর্ষণের গোপনে ভিডিও ধারণ শেষে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকের দুটি পেইজে থেকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে আবু ছৈয়দ (৫৫) বাদী হয়ে গত রোববার (১ জানুয়ারি) থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন।যার মামলা নং-০১/২০২৩ইং।
মামলার রেকর্ডের পরপরই ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করা অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন(৩২) নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
নতুন বছরের শুরুতে পর্নোগ্রাফী মামলা দিয়েই চকরিয়া থানায় রেকর্ড শুরু।
মামলা দায়েরকারী-আবু ছৈয়দ (৫৫) উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের কদ্দাছড়া এলাকার মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে।
গ্রেফতার- মোঃ শাহাদাত হোসেন (৩২) উপজেলার সাহারবিল ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের রামপুর এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পরে ছায়াতদন্তের মাধ্যমে গোপনে অভিযান চালিয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়ার রায়পুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি এক
প্রেস ব্রিফিংনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী সাহারবিল ইউপির রামপুর এলাকায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে গ্রেফতার শাহাদাত ভিকটিমকে প্রায়ই প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় গত বছরের ৯ নভেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। পরে সেই ভিডিও দিয়ে শিক্ষার্থীকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করলে তার পরিবার ইউএনও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে শাহাদাত আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে সেই ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। যা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ভিকটিমের পরিবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।গ্রেফতারকৃত আসামী চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।