শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা মাঝি তিনদিন পর উদ্ধার

নিউজ রুম / ২৭ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

কক্সবাজারে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এক কমিউনিটি নেতাকে ( মাঝি ) ঘটনার তিনদিন পর উদ্ধার করেছে র্যাব; এসময় ঘটনায় জড়িত অপহরণকারি চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, ব্যাটালিয়নটির জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক ( অভিযান ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসাইন শামীম।
গ্রেপ্তার মো. শাহ আলম (৪২) কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলী এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে। সে কক্সবাজার শহর কেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ অপহরণকারি চক্রের মূলহোতা।
উদ্ধার হওয়া মো. রফিক (৩২) উখিয়া উপজেলার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৫ ব্লকের মো. ছোবহানের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির প্রধান কমিউনিটি নেতা ( হেড মাঝি )।
র্যাব জানিয়েছে, গত ২১ এপ্রিল কক্সবাজার আদালতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেন মো. রফিক। পরে আদালতে সাক্ষ্যদান শেষে বাড়ী ফিরতে বের হন। পরে সরকারি সংস্থার লোক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্র তার চোখ-মুখ বেঁধে নিয়ে যায়।
পরে রফিককে অজ্ঞাত স্থানে জিন্মি রেখে অপহরণকারি চক্রের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে তার স্বজনদের কল দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আর টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারিরা।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসাইন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মাঝি কক্সবাজার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অপহরণ এবং মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে র্যাব অবহিত হয়। পরে তাকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন রামু উপজেলার দরিয়ানগর এলাকার গহীন পাহাড়ে অপহরণকারিরা রোহিঙ্গা মাঝিকে জিন্মি রাখার খবর পায়। পরে র্যাবের একটি দল সন্দেহজনক স্থানে অভিযান চালায়।
এতে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ৫/৬ জন অপহরণকারি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এতে ধাওয়া দিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত মো. রফিককে পাওয়া যায় বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আনোয়ার হোসাইন জানান, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মাঝিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শাহ আলমকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর