শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে বিধবা প্রতিবন্ধির ঘর,খোলা আকাশের নিচে বসবাস

নিউজ রুম / ৩৫ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

দেলওয়ার হোসাইন, পেকুয়া প্রতিনিধি ;
বেশ কয়েক বার পেকুয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে এক বিধবা ও প্রতিবন্ধির বসত ঘর, অর্থ অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের উপায় না থাকায় গত দু সপ্তাহ ধরে বাধ্য হয়ে দুই সন্তানসহ পরিবারে ৮ সদস্য নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি।
গত ৪ মে রাতে  কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকার বিধবা প্রতিবন্ধি রোজিনা বেগমের বসতঘর ।
জানা যায় বেশ কিছু দিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায় রোজিনার স্বামী। দুই সন্তান নিয়ে অসহায় রোজিনা পিতা বাড়ীতে আশ্রয় নেন। মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে থাকা এই প্রতিবন্ধির একমাত্র বসবাসের শেষ আশ্রয়স্থল ঘরটিও কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেলে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে।
বিষয়টি জানতে পেয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রতিবন্ধির ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে গিয়ে ব্যক্তিগত অর্থ সহায়তা প্রদান করেন । এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে ঘর মেরামত ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসদেন। তিনি বলেন,সরকারের পাশাপাশি অসহায় প্রতিবন্ধি মহিলার পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের এগিয়ে আসার আহবান জানন।
গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে অসহায় বিধবা প্রতিবন্ধি পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও
 এখনও পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসেনি।
পরিবারের একমাত্র উপার্জন নির্ভর রায়হান বলেন,আমি টলি গাড়ি চালিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করি। এমন কোন জমানো টাকা নেই যে ঘরটি মেরামত করবো তাই বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।
পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর