শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

পর্যটন শহরেও উত্তাপ ছড়ালো কোটা আন্দোলনকারীরা

নিউজ রুম / ২৮ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"curves":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

রহমান তারেক :
কক্সবাজারে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংকরোড ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের গেইট থেকে এসব ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর থেকে সারাদিন থেমে থেমে আন্দোলনে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এবং রাজনৈতিক কার্যালয়সহ ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মোটরসাইকেল।

কোটা আন্দোলনে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার জাতীয় পার্টি, জাসদ ও ছাত্র ইউনিয়নের কার্যালয়সহ মসজিদের জানালা, শৌচাগার, কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। পরে আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে আসা প্রতিবাদ মিছিলের কয়েকজন বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়েছে। সারাদিনের আন্দোলনে ছাত্রলীগের ৪ নেতা ও কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।

#ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত:
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ লিংক রোড, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, শহরের লালদিঘীর পাড়, ঝাউতলা এলাকায় কোটা আন্দোলনের পক্ষে মিছিল সহকারে ঘুরে বেড়ায় শত শত শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারীরা লিংকরোড থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজের দিকে এগিয়ে গেলে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক তার পকেট থেকে ‘পকেট সিম্পল সেলফ ডিফেন্স ফোল্ডিং স্টিক’ বের করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পেটাতে শুরু করেন। এ হামলায় আহত হয় কয়েকজন আন্দোলনকারী। সরকারি কলেজের গেইটের তালা ভেঙে ফেলে আন্দোলনকারীরা। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তারা সড়কে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিলেন। কিন্তু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক হেলমেট পরে এসে তাদেরকে মারধর করে। পুলিশের সামনে তাদের মারধর করা হলেও পুলিশ নীরব থাকে।
#আন্দোলনের দ্বিতীয় দফায় যা ঘটলো:
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ঝাউতলা এলাকায় মিছিল সহকারে দেখা মিলে আন্দোলনকারীদের। পরে তারা লাঠিসোটা সহকারে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে নেমে পড়ে। এবং শহীদ মিনারে এসে জড়ো হয়। শহরের পূর্বদিক থেকে মিছিল নিয়ে আসার পথে তাদের বিরুদ্ধে লালদিঘী পাড়স্থ জেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ ও ছাত্র ইউনিয়নের কার্যালয়সহ মসজিদের জানালা, শৌচাগার ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গাড়ি ভাংচুর ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মারধরের অভিযোগ তুলে।
ঘটনায় আহতরা হলেন,  কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন, সাঈদ হোছেইন কাদেরী, ইউনুস উদ্দিন আকাশ। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আসা কয়েকজনের বিরুদ্ধে জেলা বিএনপি কার্যালয় ও পাশের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারাও কার্যালয় ভাংচুর করায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে  কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কোটা আন্দোলনের  মিছিল নিয়ে অবস্থান নেয় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংকরোডে। তারা সেখানে স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেয়। পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা সরেনি। এসময় সড়কে চলাচলকারী কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে তারা। কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেইটে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে কোটা আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে লিংক রোড থেকে কক্সবাজার সরকারি কলেজের দিকে যায়। এসময় কলেজের গেইটে আসলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলনকারিদের পক্ষে মিছিল সহকারে শহরে নাশকতা চালানো হয়েছে। মিছিলে অংশ নেয়ারা শিক্ষার্থী না। তারা সকলেই পরিকল্পিত হামলাকারি। এদের হাতে লাঠি, লোহারড, ইটপাটকেল ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এরা শহরের ঘুরে ঘুরে মিছিল সহকারে ভাংচুর চালিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসে। ওখানে আওয়ামীলীগ কার্যালয়, জাসদ কার্যালয়, জাতীয় পার্টির কার্যালয় মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকা কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজীবুল ইসলাম মোস্তাককে কুপিয়ে আহত করা হয়। একই সময় মারধর করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন, সাঈদ হোছেইন কাদেরীসহ কয়েকজনকে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষে মিছিল করা লোকজন চিহ্নিত শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার। এরা কখনও খালেদা জিয়া, কখনও নিজামীর নামে শ্লোগান দেয়।
আহত ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, এটা কোটা আন্দোলন ছিল না। শিবির ও ছাত্রদলের কিছু সংখ্যক লোকজন এই হামলা, ভাংচুর ও মারধর সংঘটিত করেছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে মোস্তফা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। অধিকার আদায়ে যখন মাঠে নেমেছি দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমারা সুষ্ঠুভাবে আন্দোলন করবোই। আমরা কাউকে মারধর কিংবা আঘাত করছি না।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আন্দোলনকারীরা মিছিল সহকারে কয়েকটি স্থানে ভাংচুর ও কয়েকজনকে মারধর করেছে। তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারা ভাংচুর ও মারধর করেছে তাদের ভিডিও, ছবি পাওয়া গেছে। তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর