বিডি প্রতিবেদক :
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতমানের একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জীবন যাপন করছে শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া ও নাজিরারটেক শুটকিপল্লীতে বসবাসকারী অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ।
Oplus_2
এমন বাস্তবতায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে শহরের ১নং ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হয়েছে সলিড ওয়েস্ট সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের।
বিকেলে অত্যাধুনিক এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন এবং হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম।
তিনি বলেন, পচনশীল ও প্লাস্টিক এবং অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার অভাবে নদীখাল আর সমুদ্র দূষণ হচ্ছে। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন এখানকার মানুষ। তাই প্রকল্পটি উপকূলীয় এলাকার মানুষদের উপকারে আসবে বলে মনে করেন সরকারের এই কর্মকর্তা।
স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম আক্তার, ইউনিসেফের ওয়াস স্পেশালিস্ট জাহিদুল মামুন ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, বিভিন্ন ওয়াস পার্টনার সংস্থা ও ডিএসকে আরবান ওয়াশের কর্মকর্তাবৃন্দ, ১নং ওয়ার্ডের ওয়াস কমিটি, বর্জ্য উদ্যোক্তা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাহিনী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএসকে আরবান ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় ১নং ওয়ার্ডের ৭৩টি কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতামূলক এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও জনগনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করেছে ডিএসকে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এর আর্থিক সহায়তা ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডিএসকে’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়ন হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প। যার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।