সাকলাইন আলিফ :
কক্সবাজারের সকল থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। থানা পুলিশের পুরোপুরি সেবা সচল করতে কিছু সময় লাগবে। এর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষে সকল প্রকাল সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের রামুস্থ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন।
কক্সবাজার পর্যটন শিল্প যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সব প্রকার সহযোগিতা করবে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সেনা কর্মকর্তা বলেন, দেশে চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের পাশে সেনা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সেনা বাহিনীকে সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীরাও। এপরিস্থিতিতে নানা কারণে থানা পুলিশের সেবা কার্যক্রম পুরোদমে সচল করতে কাজ চলছে।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের ৫ টি থানার পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজারে পুলিশের কার্যক্রম ও উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রতিটি থানায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। রয়েছেন আনসার সদস্যরা। থানায় কিছু আসবারপত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লুট হয়ে গেছে। সেনা বাহিনীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এসব উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধির অভিনন্দন জানিয়েছে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে থানার লুট করা মালামাল উদ্ধার করে থানায় ফিরে নিয়ে আসছে। এটা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা দিচ্ছে সেনা বাহিনী।
কক্সবাজার একটি সম্প্রীতিময় জেলা এবং এলাকার লোকজন শান্তি প্রিয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক ফিরে আসবে। পর্যটকরা আবারও ভ্রমনে আসবেন।
সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি থানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন, উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আলাপ করেন। তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা আশ্বাস দেন। বলেন, সেনা বাহিনীর পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত খাবার সহ সকল সহযোগিতা দেয়া হবে। থানায় যা যা প্রয়োজন থানাও দেয়া হবে। কেননা পুলিশ ছাড়া আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা সম্ভব না।
এসময় পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের ৮ টি থানায় সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিক্রমে পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে। যেসব মালামাল গুলো নষ্ট হয়েছে ও আলামত নষ্ট হয়েছে, সে ব্যাপারে হেডকোয়ার্টার থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ভালো হয়ে আসছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। তিনি এ ব্যাপারে সাধারণ জনগনের সহযোগিতা কামনা করেন।