নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের শাসনামলের ১৫ বছরে চূড়ান্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন- দাবি করে কক্সবাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের সনাতন সম্প্রদায়ের কেউই কোথাও নির্যাতিত হয়নি এবং জেলার কোনো মন্দির কিংবা ধর্মীয় স্থাপনাতেও কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি।
গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সভায় সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এডভোকেট জি এ এম আশেক উল্লাহ বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে একটা প্রতিবিপ্লব সৃষ্টি করার জন্য হিন্দু ভাইদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এডভোকেট রণজিৎ দাশ বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পূজা উদযাপন পরিষদ কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।
সনাতন সম্প্রদায়ের শতাধিক নেতাকর্মী ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, জামায়াত-শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা জেলাব্যাপী মন্দির ও সনাতন ধর্মীয় স্থাপনাগুলো পাহারা দিয়েছেন। এতে শংকামুক্ত থেকেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন।
বিগত সরকারের আমলে রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন, পুরোহিত নিহতসহ সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার পুনঃতদন্ত দাবি করেন তারা।
মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মাহবুবর রহমান, সহ-সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিগন্তের কক্সবাজার অফিস প্রধান জি এ এম আশেক উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সম্পাদক আনছার হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক এম আর মাহবুব, নির্বাহী সদস্য আতাহার ইকবাল, আবু ছিদ্দিক ওসমানী, শামসুল হক শারেক, কামাল হোসেন আজাদ প্রমূখ।
এই সম্প্রীতির এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রণজিৎ দাশ, রাজবিহারী দাশ, উদয় শংকর পাল মিঠু, সনাতন ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক অন্তর দে বিশাল, পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনি ধর, সংখ্যালঘু ছাত্র ঐক্যের রাসেল দে, দোলন ধর, রাজু পাল, প্রদীপ দাশ, মৃদুল কান্তি ধর, বলরাম দাশ, এড. বাপ্পী শর্মা, স্বপন কান্তি পাল, দুলাল কান্তি, রতন দাশ, বেন্টু দাশ ও দুলাল চক্রবর্তী প্রমূখ।