বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় মিছিলে গুলি বর্ষনের জেরে অজ্ঞাত যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সববাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে আজ শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান।
তিনি জানান, কক্সসবাজার সদর মডেল থানার এসআই মো. সেলিম মিয়া বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ১০০-১৫০ জন।
পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহরের বাহারছড়া এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহিনুল হক মার্শালকে। ওই মামলায় দুই নম্বর আসামি মার্শালের অপর ভাই সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল। এজাহারে উল্লেখিত অন্যান্য আসামিরা যথাক্রমে কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান তারেক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবু্ুবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাইন উদ্দিন, খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাহান সিদ্দিকী। অজ্ঞাত নামা বলা হয়েছে ১০০/১৫০ জন।
এজাহারে উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করছিল। মিছিল শেষে যখন তারা ফিরে যাচ্ছিল তখন শহরের গুনগাছ তলা এলাকায় আসামিরা হামলা ও গুলি চালায়। এতে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।