শিরোনাম :
কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন” পেকুয়ায় সন্তানের নির্যাতনের শিকার বয়োবৃদ্ধ পিতা যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন সাবেক এমপি ফজলে করিম শহীদ ওয়াসিমের মায়ের পাশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ রোদ-বৃষ্টি আধার রাতে;আমরা আছি রাজপথে-চকরিয়াতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক-হাসনাত আব্দুল্লাহ

গনহত্যা বন্ধ করো বন্ধ করো শ্লোগানে প্রকম্পিত উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির

নিউজ রুম / ৮ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমনের ৭ বছর পুর্তি উপলক্ষে শরনার্থী শিবিরে গনহত্যা দিবস পালন করেছে রোহিঙ্গারা। এ উপলক্ষে আজ ২৫ আগস্ট শরনার্থী শিবিরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

দিনটিকে রোহিঙ্গারা কালো দিবস আখ্যা দিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রোহিঙ্গা।

রবিবার সকাল ১০টার পর থেকে মুষলধারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে উখিয়ার বিভিন্ন  ক্যাম্পে ‘হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন পালন করেছেন তারা। সমাবেশে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে গনহত্যা বন্ধ করো গনহত্যা বন্ধ করো শ্লোগানে প্রকম্পিত করে সমাবেশে।

হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আশপাশের ক্যাম্প থেকে সকাল থেকে লোকজন শিবিরের ফুটবল মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্যাম্পেইন সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেন। পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলে ধরেন।

সমাবেশে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা বলেছেন ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক জান্তার গনহত্যার মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরাকানে জাতিগত নিধন চালিয়ে গেছে।

রোহিঙ্গা নেতারা জানান ২০১৭ সালের পর এ বছর আরাকানে রোহিঙ্গা জাতি দ্বিতীয় গনহত্যার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে রাখাইন ষ্টেটে আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের উপর দ্বিতীয় দফা গনহত্যা চালাচ্ছে।

তারা জানায়, দেশে ফিরে যাওয়ার জন্যে এই গণহত্যা দিবসটি পালন করছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা রেখে অনেকেই বলেন, এই দিনে মিয়ানমার জান্তা সরকার তাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এই দেশে আর কত বছর থাকবো? আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই। মিয়ানমার আমাদের দেশ। অনতিবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রত্যাবাসন সফল করতে দেশটির পাশে থাকতে হবে।

রোহিঙ্গা নেতারা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির গনহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশসহ দাতা সংস্থার কাছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্যে সহযোগীতা কামনা করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সৈয়দ উল্লাহ, মাস্টার মোহাম্মদ কামাল, মাস্টার রশিদ আহমদ মাস্টার রহমত উল্লাহ প্রমুখ।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর