শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

গনহত্যা বন্ধ করো বন্ধ করো শ্লোগানে প্রকম্পিত উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমনের ৭ বছর পুর্তি উপলক্ষে শরনার্থী শিবিরে গনহত্যা দিবস পালন করেছে রোহিঙ্গারা। এ উপলক্ষে আজ ২৫ আগস্ট শরনার্থী শিবিরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

দিনটিকে রোহিঙ্গারা কালো দিবস আখ্যা দিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রোহিঙ্গা।

রবিবার সকাল ১০টার পর থেকে মুষলধারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে উখিয়ার বিভিন্ন  ক্যাম্পে ‘হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন পালন করেছেন তারা। সমাবেশে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে গনহত্যা বন্ধ করো গনহত্যা বন্ধ করো শ্লোগানে প্রকম্পিত করে সমাবেশে।

হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আশপাশের ক্যাম্প থেকে সকাল থেকে লোকজন শিবিরের ফুটবল মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্যাম্পেইন সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেন। পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলে ধরেন।

সমাবেশে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা বলেছেন ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক জান্তার গনহত্যার মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরাকানে জাতিগত নিধন চালিয়ে গেছে।

রোহিঙ্গা নেতারা জানান ২০১৭ সালের পর এ বছর আরাকানে রোহিঙ্গা জাতি দ্বিতীয় গনহত্যার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে রাখাইন ষ্টেটে আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের উপর দ্বিতীয় দফা গনহত্যা চালাচ্ছে।

তারা জানায়, দেশে ফিরে যাওয়ার জন্যে এই গণহত্যা দিবসটি পালন করছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা রেখে অনেকেই বলেন, এই দিনে মিয়ানমার জান্তা সরকার তাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এই দেশে আর কত বছর থাকবো? আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই। মিয়ানমার আমাদের দেশ। অনতিবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রত্যাবাসন সফল করতে দেশটির পাশে থাকতে হবে।

রোহিঙ্গা নেতারা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির গনহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশসহ দাতা সংস্থার কাছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্যে সহযোগীতা কামনা করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সৈয়দ উল্লাহ, মাস্টার মোহাম্মদ কামাল, মাস্টার রশিদ আহমদ মাস্টার রহমত উল্লাহ প্রমুখ।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর