শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

রামুতে বাঁকখালীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে অসংখ্য স্থাপনা

নিউজ রুম / ১৬ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

সোয়েব সাঈদ :

রামুতে একাধিক স্থাণে বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরফলে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া গ্রামে অসংখ্য বসত বাড়ি হুমকীর মুখে পড়েছে। এছাড়া রাজারকুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শিকলঘাট এলাকায় শিকলঘাট-মনিরঝিল সড়কের একাংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের তেমুহনী স্টেশনের পার্শ্ববর্তী জুলেখার পাড়ায় সিসি ব্লক সরে গিয়ে হুমকীতে পড়েছে রামু-মরিচ্যা সড়ক সহ আশপাশের বসতি। এসব এলাকার বাসিন্দারা নদীভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। 
জানা গেছে, উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পুর্বপাড়া গ্রামের বাকখালী নদীর পাড় প্রতিবছর বর্ষাকালে একাধিক বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে ভাঙ্গনের শিকার হলেও ভাঙ্গন রোধে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে না।

নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানা গেছে, কাউয়ারখোপ পূর্ব পাড়ায় শত শত বছর পুর্ব থেকে হাজারো পরিবার বসবাস করে আসছে। এখানে নদীর দুইপাশে বর্তমান নদী ভাঙ্গনের কবলে এসব পরিবার ঝূঁকি নিয়ে বসবাস করছে। ইতিপুর্বে এ গ্রামে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শত শত পরিবার ঘরহারা হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে নদীর কোন কোন স্থানে সরকারী ভাবে ব্লক বসানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার এম আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন- ২০১২ সালের বন্যায় পুর্ব কাউয়ারখোপ মরহুম আবুল বশর সওদাগরের ঘাটা থেকে আইরাবাপের ঘাটা পর্যন্ত বাকখালী নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়। তৎকালীন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল পরিদর্শনে এসে ভাঙ্গন রোধে দুটি বল্লি স্পার স্থাপন করে দিলে নদী ভাঙ্গন কিছুটা হ্রাস পায়। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে ওই স্থানে পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হয়। বিশেষ করে চলতি বর্ষায় লাগাতার বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারন করলে প্রায় দেড় হাজার ফুট দৈঘ্যর তীর নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। এতে করে পুর্ব কাউযারখোপ লামার পাড়াসহ আশপাশের সাত শতাধিক বসতবাড়ী হুমকীর মুখে পড়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে জীবনের একমাত্র সম্বল বসত বাড়ী হারানোর ভয়ে গ্রামের মানুষ চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
এ গ্রামের সমাজ সেবক জাফর আলম বলেন- নদী ভাঙ্গনস্থল থেকে বর্তমানে মাত্র ৩০ ফুটের দুরত্বে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সড়কের অবস্থান। এখন থেকে ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে গ্রামটি তো বিলীন হবেই, সড়কটিও ঝুঁকিতে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাবে।
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের জুলেখারপাড়ার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক অশোক কুমার বৈদ্য জানিয়েছেন- ওই এলাকায় রামু-মরিচ্যা সড়কের পাশে নদীর তীরে স্থাপিত সিসি ব্লক নদীতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে বর্তমানে নদীর তীরের একাংশে ব্লক না থাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এখানে নতুন করে আরও সিসি ব্লক স্থাপন করতে হবে। নইলে জুলেখারপাড়া গ্রাম এবং রামু-মরিচ্যা সড়ক বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এভাবে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ক্যাজরবিল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, চাকমারকুল, কচ্ছপিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়িসহ অসংখ্য স্থাপনা তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।

 

 

সম্প্রতি রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম গর্জনিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়ার আশ^াস দেন। অপরদিকে ভুক্তভোগীরা এসব ভাঙ্গন রোধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিথুন ওয়াদ্দাদার জানিয়েছেন- রামুর বিভিন্নস্থানে নদী ভাঙ্গন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড অবগত আছে। এসব ভাঙ্গন রোধে যথাসম্ভব জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর