শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

মিয়ানমারের চেয়ে ভালোভাবে পূজা করতে পারছে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা

নিউজ রুম / ৫ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে থাকা সনাতনীরা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পের ভেতর দুর্গোৎসব পালন করছে। পুলিশ ও ক্যাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (হিন্দু) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা হিন্দুদের নানা শ্রেণীর পূজারীরা এখানে পূজা করছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন হেলাল বলেন, নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে  বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কুতুপালং শিবিরে থাকা  সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নারী, পুরুষ ও শিশুরা ক্যাম্পের একমাত্র পূজামণ্ডপে প্রার্থনা করছেনা। তারা প্রার্থনায় নিজদেশে ফিরে যাওয়ার প্রার্থনা করছেন অনেকে। আমরা স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করে থাকি। পুলিশ ও ক্যাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্যাম্পে ১২৩ পরিবারের ৫২৫ জন সনাতনীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র মন্দির। মন্দিরের পুরোহিত বাপ্পা চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছরের মতো এবছরও হিন্দু ক্যাম্পের বাসিন্দারা নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমে ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। মণ্ডপে প্রার্থনা করছেন সনাতনীরা।

সমি রানী শীল বলেন, নিজেদের দেশ মিয়ানমারে পর্যন্ত আমরা এত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারেনি। বাংলাদেশের সরকার নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের অনেক সুন্দর পূজার আয়োজন করে দিয়েছে।ক্যাম্পে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পূজা আর্চনা করতে পের খুশি মিয়ানমার থেকে আসা সনাতনীরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা নির্জন রোদ্র জানান, প্রতিবছর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হিন্দুরা দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করে থাকে। পূজা অর্চনা শেষে মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হয়।

কুতুপালং হিন্দু ক্যাম্পের মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরন রোদ্র জানান, বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দুগণের সাথে আমরা একইভাবে দুর্গাপূজা পালন করে থাকি। এতে স্থানীয় প্রশাসন আমাদের কে সহযোগিতা করেন। স্থানীয়দের সাথে কক্সবাজার সৈকতে মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বছরও তাই হবে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া হিন্দু শিবিরের মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মধুরাম পাল জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। দশমীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হবে।

উখিয়া উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপন দেওয়ানজী জানান, উপজেলায় ৭টি পূজামণ্ডপ প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের জন্যও একটি পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত পূজামণ্ডপ ও মন্দিরের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা হিন্দু আছে তাদের আলাদা ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে গতবারের মতো এবারও দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করা হয়।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প দুর্গাপূজার ব্যাপারে আলাদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি উখিয়া থানার পুলিশ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর