শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে

নিউজ রুম / ৪ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

হাজার হাজার ভক্ত পূজারী আর পর্যটকদের উপস্থিতিতে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সরকারি ছুটি থাকায় প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি ছিল। নেয়া হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোন অপরিতিকর ঘটনা ছাড়াই সবচেয়ে বড় বৃহৎ বিসর্জন টি সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ২৪৫ টি প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপূজার কারণে সরকার গুষিত ছুটির শেষ দিন ছিল রবিবার। আর এই দিনেই দেশের সর্ব বৃহৎ ‌ বিসর্জন টি হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এ বিসর্জন অনুষ্ঠানটি দেখতে হাজার হাজার ভক্ত, পূজারী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পূর্ব থেকে ভীড় করেছিল কক্সবাজার সৈকতে।

সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজার সমাপনী ও প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বেলা তিন টার পর থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে একে একে আসতে থাকে প্রতিমা গুলো। বিকেল চারটার পর সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সুগন্ধা পয়েন্ট লোকাল হয়ে যায়।

প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন, র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে, কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ রহমত উল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি’র মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়ামিন হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নেজাম উদ্দিন,কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামিম আরা সপ্না, কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান,কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সারোয়ার কামাল, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কাসেম, কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু,কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দিপু সহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

নীলফামারী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক ফিরোজ মাহমুদ বলেন, কক্সবাজার ঘুরতে এসে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের দৃশ্যটি অবলোকন করতে পারলাম, এটা আমার ও আমার পরিবারের জন্য বাড়তি পাওয়া। সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি রাখাইন সম্প্রদায়ের অনেক কে দেখা গেছে সমুদ্র সৈকতের বিসর্জন অনুষ্ঠান।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দিপু জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ৪৯ টি মন্ডপের ২৪৫ টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন সম্পন্ন হয় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বিসর্জন উপলক্ষে আয়োজিত সভা শেষে কক্সবাজার শহরের সরস্বতী বাড়ি মন্দিরের পুরোহিত স্বপন ভট্টাচার্য নিরঞ্জন মন্ত্র উচ্চারণ করেন। সমবেত সকলেই তার সাথে সাথে মন্ত্র উচ্চারণ শেষে একে একে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়। সন্ধ্যার আগেই সবগুলো প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হয় বঙ্গোপসাগরে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ রহমতুল্লাহ বলেন, দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই বিসর্জন টি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী রেপিডাকশন ব্যাটেলিয়ান রেব সহ সবগুলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা কাজ করেছেন।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রেজনের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ বিসর্জন ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের সবচেয়ে বৃহৎ বিসর্জন টি কক্সবাজারে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ বৃহৎ অনুষ্ঠানটি শেষ করতে কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন। সনাতন সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই অনুষ্ঠানটি নিজেদের মনে করে সহযোগিতা করেছেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর