শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় এক ব্যবসায়ী আহত : নগদ টাকা ও মোবাইল লুট

নিউজ রুম / ২২ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

বিড়ি প্রতিবেদক চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল সেট সন্ত্রাসীরা লুটে নেয় বলে দাবী করেছেন আহত ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এনিয়ে ভুক্তভোগী চকরিয়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে এজাহার জমা দিয়েছেন। আহত ব্যবসায়ী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পরে আহত ব্যক্তির পরিবার থানায় অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ কোন ধরণের প্রদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নস্থ বাগগুজারা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে,
কোনাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মরংঘোনা এলাকার বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আবদুল করিম বালু বিক্রি করে তার পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাগগুজারা ব্রীজের উত্তর পাশে তাহার ও তার শ্বশুর জাফর আহমদ, শ্যালিকা ও স্ত্রী রোজিনা বেগমের ১.৪০শতক জমি রয়েছে। ওই জমিতে প্রবল বর্ষনে মাতামুহুরী নদীর বালু এসে ভরাট হয় যায়। তার পাশাপাশি মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য বিক্রি করে আসছেন। এতে মরংঘোনা এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে ইফতেখার বকুল, তার ভাই সাদ্দাম, ছৈয়দ আলম ও মৌলভী ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় জমিতে মজুদকৃত বালু নিয়ে যাওয়ার এবং জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে নানা ধরণের হুমকি-দমকি প্রদর্শন করে আসিতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোনাখালীস্থ বাগগুজারা ব্রীজ সংলগ্ন আবদুর রহমানের চায়ের দোকানে বসে ব্যবসায়ী আবদুল করিম তার ম্যানেজার রায়তুলের সাথে বালুর ব্যবসার হিসাব করেন। এসময় অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা কথা আছে বলে দোকান থেকে বাহির করে ব্রীজের ওপরে নিয়ে যায়। ব্রীজে যাওয়া পরে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে অতর্কিক ভাবে মারধর ও চোরা দিয়ে আঘাত করে ব্যবসায়ী আবদুল করিমকে। এতে সন্ত্রাসী হামলায় তার চোখের ভ্রুতে গুরুতর জখম হয়। ওই সময় তার লুঙ্গির মধ্যে প্যাচানো ব্যবসার ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল লুটে নেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। তার শোরচিৎকারে স্থানীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চকরিয়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে এজাহার জমা দেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তের জন্য মাতামুহুরী পুলিশ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।##


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর