শিরোনাম :
মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত মায়ের ডাক’র সমন্বয়ককে তুলে নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ কৃষকের ফসল নষ্ট, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব সহ ৭৬ জনের নামে মামলা বদির ‘আন্তর্জাতিক ক্যাশিয়ার’ ফারুককে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান, দুর্বৃত্তদের হামলা মাহমুদুর রহমানের কারাগারে যাওয়া নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল কীভাবে ভারতে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী টেকনাফের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষাসহ ১২দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী বৈষম্য মুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহর স.- আদর্শই একমাত্র পথ “-মুহাম্মদ শাহজাহান

স্ত্রীর সামনে মাদ্রাসা সুপারকে কুপিয়ে হত্যা

নিউজ রুম / ২০ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক মহেশখালী :
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাদ্রাসা পরিচালনায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন সশস্ত্র হামলা চালিয়ে মাও: জিয়াউর রহমান (৫০) নামের এক মাদ্রাসা সুপারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে তার স্ত্রী রহিম বেগম (৪২)। তারা স্বামী স্ত্রী দু’জনই মাদ্রাসা শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা সোমাইয়া (রাঃ) বালিকা দাখিল মাদ্রাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জিয়াউর রহমান তাজিয়াকাটা গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ও তাজিয়াকাটা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। তার স্ত্রী তাজিয়াকাটা সোমাইয়া (রাঃ) বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষিকা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, একটি মাদ্রাসার এমপিও ভুক্তি নিয়ে মাদ্রাসা কমিটি ও জমি দাতাদের সাথে শিক্ষকদের বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মোহাম্মদ বকসুবর গোষ্ঠী ও লাল’রবর গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এ নিয়ে গত তিন মাস পূর্বে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এ বিরোধের জেরেই বৃহস্পতিবারের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার ভাই মাওঃ জিয়াউর রহমান আমার ভাবীর মাদ্রাসায় গিয়ে ভাবীর জন্য অপেক্ষা করেছিল। এ সময় হঠাৎ প্রতিবেশী প্রতিপক্ষের আনছার, মহিউদ্দিন, সাফায়েত উল্লাহ, এবাদুল্লাহ, নেছার ও মোস্তাক সহ ৮/১০ মিলে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে আমার ভাইকে টেনে মাঠে এনে উপর্যপুর কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় আমার ভাবী তার স্বামীকে বাঁচাতে আসলে তাকেও কোপায় তাঁরা। এতে ভাবি রহিমা বেগম ও মারাত্মকভাবে আহত হয়। লোকজন আমার ভাইকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন। ভাবিকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর