ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২:
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপি তাদের সমাবেশে জনসমাগম কম হওয়ার শংকায় এবং গন্ডগোল সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনের ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে চায় বলেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি তাদের সমাবেশে লোকসংখ্যা যে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি হবে না সেটা আগে থেকেই জানে। সেটিও যদি হয়, কোনো অবস্থাতেই একটি ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা উচিত নয়। আর নয়াপল্টনের পুরো এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়েও যদি মানুষ বসে তাহলে ৫০ হাজারের বেশি না। তবুও সেখানেই সমাবেশের ওপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছে- প্রথমত: তারা শংকিত ওখানে তেমন লোক হবে না। দ্বিতীয়ত: রাস্তায় সমাবেশ করলে গন্ডগোল করতে সুবিধা হয়। এই দুই উদ্দেশ্যে তারা সেখানে সমাবেশ করতে চায়।’
‘নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যটাই একটা হীন উদ্দেশ্য’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বড় সমাবেশ কখনো রাস্তায় হয় না, রাস্তায় সমাবেশ করাটা অনুচিত, এতে জনগণের দুর্ভোগ হয়। আপনারা সাংবাদিকরাই লেখেন এবং টেলিভিশনে দেখান যে, রাস্তায় সমাবেশ করতে গিয়ে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। সরকার সমাবেশ করার অনুমতি দিতে পারে কিন্তু গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যে কোনো সমাবেশ করার অনুমতি তো দিতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক শেষে ড. হাছান সাংবাদিকদের জানান, ‘জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। পাশাপাশি ১১ ডিসেম্বর তাদের উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার সংরক্ষণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে আমাকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছেন। পাশাপাশি ছোটখাটো অন্যান্য বিষয় যেমন পরিবেশ সংরক্ষণ, কপ-২৭ এর ফলাফল এবং গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি মাস ছয়েক আগে এ দেশে এসেছি। আজ তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং একইসাথে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমাদের অনুষ্ঠানে তাকে নিমন্ত্রণ করতে এসেছি। পাশাপাশি গণমাধ্যম, জলবায়ু পরিবর্তন ও সম্প্রতি সমাপ্ত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি।’ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয়ের সিনিয়র হিউম্যান রাইটস এডভাইজার হুমা খান এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক-জনসংযোগ মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।