শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার সৈকত

নিউজ রুম / ২৪ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

সাকলাইন আলিফ :
টানা ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর এখন সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। চারদিকে শুধু পর্যটক আর পর্যটক। অতিরিক্ত পর্যটকদের আগমনে থমকে গেছে কক্সবাজারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শহরের অলি গলিতে লেগে আছে যানজট। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তাই নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া ও খাবারে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা। পর্যটকদের হয়রানি রোধ করতে মাঠে কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের টিম।
সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বড়দিনের সরকারি বন্ধের কারণে টানা ছুটির কবলে পড়েছে দেশ। আর এই ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর হয়ে গেছে কক্সবাজার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও, ইনানী, হিমছড়ি, পাটুয়ারটেক, দরিয়া নগর ,আদিনাথ মন্দির, সোনা দিয়া সহ পর্যটন স্পট গুলোতে পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আগত পর্যটকরা এসব স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে। অতিরিক্ত পর্যটকদের আনাগনার কারণে থমকে গেছে কক্সবাজার শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে শহরের অলি গলিতে যানজট লেগেই থাকছে।
সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয়, ঢাকার মালিবাগ থেকে আসা রাহুল নয়না দম্পতির সাথে, তারা অভিযোগ করে বলেন, রুম না পাওয়ার কারণে, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে তারা কলাতলীর একটি হোটেলে উঠেছে। একই সাথে খাবারেও অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই পর্যটক দম্পতি।
খুলনার ডুমুরিয়া থেকে আসা, নুরুল ইসলাম, রফিক, রাশেদ, সোহেল বলেন, ছুটি পাওয়ার কারণে ঘুরতে আসলাম কক্সবাজারে। এখানে অনেক ভালো লাগছে। বন্ধুদের সাথে হৈইচই করে সমুদ্রে গোসল করলাম। তবে খাবারে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়েছে আমাদের কাছ থেকে।
বেসরকারি পর্যটক সংস্থা ভ্রমণ বেলার প্রধান নির্বাহী মাজহারুল হক মান্না বলেন, একটি গ্রুপ নিয়ে সোনা দিয়া ভ্রমণ করে অনেক ভালো লাগছে। খুব ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা। তবে সোনাদিয়া দ্বীপের সাথে কক্সবাজার থেকে সরাসরি কোন যাত্রীবাহী ট্রলার বা স্পিডবোট না থাকায়, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়েছে। স্পিটবোটের চালকরা কমিটমেন্ট রক্ষা করে না। ঢাকায় থাকতে তাদের সাথে কথা হয়েছে একরকম। আবার এখানে আসার পর অতিরিক্ত পর্যটক দেখে, আমাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে বসে। প্রশাসনকে এসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে পর্যটকরা কিন্তু কক্সবাজার না এসে অন্যদিকে চলে যাবে।
হোটেল হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পর্যটকদের সর্বোচ্চ দেয়ার। প্রতিটি হোটেলে বলে দেওয়া আছে জাতীয়তরুক্ত ভাড়া আদায় না করে।
হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা শাহ আলম বলেন, আমাদের হোটেলের ভাড়া নির্ধারণ করা। অনেকে অনলাইনেও বুকিং দিয়ে থাকেন। এখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কক্সবাজার হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, আমাদের সমতির যেসব হোটেল রয়েছে, সবগুলো হোটেলে খাবারের তালিকা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমতির বাইরে অনেক হোটেল রয়েছে, তারা হয়তো বেশি খাবারের মূল্য নিতে পারে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রেজওনের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, টানা ছুটির কারণে কক্সবাজারে অনেক পর্যটক এসেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টহল জোরদার করা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলোতে। এছাড়াও সৈকতে টাওয়ার বসিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজারের নবাগতা জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাতে কেউ হয়রানি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে। অতিরিক্ত ভাড়া বা পর্যটক হয়নি হলে সাথে সাথে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর