জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়াতে ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া একই পরিবারে ছয়ভাই হারানো করুণ ট্রাজেডি এখনো সর্ব-সাধারণের হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টির ক্রন্দন হিসেবে স্মৃতি বিজড়িত।
২০২২সালের ৮ ফ্রেরুয়ারী সাড়ে পাঁচটার সময় উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপির মালুমঘাটস্হ রিংভং হাসিনাপাড়া রাস্তার মাথায় ঘাটক পিকআপ গাড়ী ইচ্ছাপূর্বক ঘটাটি ঘটিয়েছিল।এই সময় পিতা অন্ত্যোষ্টুক্রিয়া অনুষ্ঠান শেষে বাড়ী ফিরতে রাস্তা পারাপারে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।এতে হতভাগা মা মৃণালিনী শীল হারালো ছয় ছেলে।ছেলেরা হলেন-অনুপম সুশীল(৪৬),নিরুপম সুশীল(৪৩),দীপক সুশীল(৪০),রক্ষিম সুশীল(৩৮),চম্পক সুশীল(৩৫)স্মরণ সুশীল(২৬)।এর দেড়বছর আগে একইভাবে হারিয়েছিল হীরক সুশীল (৪১)কেও।
ফিরে দেখা মৃত্যের সেইদিন ঘনিয়ে আসার আগেই হতভাগী মা মৃণালিনী শীল সহ স্বামীহারা পুত্রবধু ও পিতাহারা অবুঝ নাতিদের নিয়ে বাৎসরিক পূজাঁর প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানান বেঁচে যাওয়া প্লাবন সুশীল।
উল্লেখ্য,আলোচিত ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে ডুলাহাজারার চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের প্রচেষ্টায় মাননীয় এমপি আলহাজ্ব জাফর আলমের সহযোগিতায়,জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নগদ আর্থিক সাহায্যে ও প্রত্যেকের জন্য জায়গা সহ একটি ঘর দেওয়া হয়।এছাড়াও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি,সংস্হা,কোম্পানি,রাজনৈতিক দলের নেতারা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।তবুও শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেনা মৃণালিনী ও তার পরিবার।
যে এর্দূঘটনার কথা মনে পড়লে ঐ এলাকার লোকদের মনে ভয়ের কম্পন সৃষ্টি হয়।প্রতিবেদক হিসেবে পেশাগত কাজে এই এলাকায় গেলে দেখা হয় হতভাগা মা মৃণালিনীর।বৃদ্ধা এই মুরব্বির আমাকে দেখে প্রনাম দিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।সর্বশেষ তিনি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আর্শিবাদ করেন বলে জানান।সাংবাদিক,প্রশাসন ও এমপি,জনপ্রতিনিধিদের জন্য তাদের পরিবার বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন।