আলম নুরুল :
ঋতু রাজ বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসে কক্সবাজারে ৫০ হাজারের কাছাকাছি পর্যটক এসেছেন। আর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বসন্ত ও ভালোবাসার ছোঁয়া লেগেছিল স্বাভাবিকভাবে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী এলাকা পর্যন্ত দেখা মিলে হাজারো মানুষের। তবে বেশিরভাগ মানুষ স্থানীয়। যারা বালিয়াড়িতে ঘোরাঘুরি করছেন। যেখানে অনেকের পরণে দেখা গেছে হলুদ পোষাক, অনেক নারীর মাথায় ছিল ফুলের মালা। যা দেখে কিছুটা হলে মনে করে দেবে পহেলা ফাল্গুন বা ভালোবাসা দিবসের কথা।
যেখানে কথা হয় শহরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণীর সাথে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, তারা ৪ জন মিলে সৈকতে ভ্রমণে এসেছেন। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের দিনটি সমুদ্র সৈকত উপভোগে স্মরণীয় রাখতে তাদের ভ্রমণ।
আবার অনেকেই দেখা গেছে পরিবার পরিজন মিলে সৈকতে ভ্রমণ করতে। চাকুরিজীবী আনোয়রুল হুদা জানান, স্ত্রী, ২ সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে এসেছেন। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের পরিবারের অনুরোধ রক্ষায় তার সৈকতে আসা। এসে ভালোই লেগেছে। খুব বেশি মানুষ নেই। উপভোগ করা যাচ্ছে ভালোভাবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, মঙ্গলবার, সাপ্তাহিক কোন ছুটি না থাকায় খুব বেশি পর্যটক আসেননি। তবে সৈকতের বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোকজন ঘুরতে এসেছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, কোন বিশেষ দিবসে না, কক্সবাজার পর্যটক বেশি আসেন সাপ্তাহিক ছুটিতে। কোন ছুটি না থাকলেও ৫০ হাজারের কাছা-কাছি পর্যটক এসেছেন। ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক রুম বুকিং হয়েছে। যে সব পর্যটক এসেছেন তারা বসন্ত ও ভালোবাসা উপভোগ করছেন নিজের মতো। তবে এ উপলক্ষ্যে সৈকতে বা পর্যটন এলাকায় বিশেষ কোন আয়োজনের সংবাদ দিতে পারেননি তিনি।