শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

শীঘ্রই চকরিয়াকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা দিবেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ রুম / ৩৩ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের বৃহৎ উপজেলা চকরিয়াকে অতিশীঘ্রই শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে চকরিয়াই বৃহৎ উপজেলা।এটি ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে গঠিত হয়।মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ভূমিহী ও গৃহহীন লোকদেরকে পূনর্বাসন করার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হতে চলছে।
২০১৭ সালের তালিকা অনুযায়ী চকরিয়াতে মোট ৮৭৪ টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হিসেবে চিহৃিত করে তালিকাভূক্ত করা হয়।প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্ধকৃত ঘরগুলো উপজেলা প্রশাসন স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষে প্রথম ধাপে
১৮২টি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ২৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।এরপর ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ভূমিহীন ও গৃহহীন তালিকাভূক্ত উপকারভোগীদের কাছে ডকুমেন্ট সহ-বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে ১৯২ টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তৎমধ্যে ১১৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও আরো ৭৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।নির্মাণাধীন ঘরের কাজ শেষ হলেই,বরাদ্দকৃত মোট-৮৭৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন সক্ষম হবে।ফলে খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত ঘরসমূহ উদ্বোধন সহ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দিবেন।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)জেপি বলেন,চকরিয়াকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণার ব্যাপারে গত ১৫ ফ্রেরুয়ারী প্রশাসনিক এক বৈঠক হয়েছে।দেশে কোন পরিবার যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে।তাই মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সমগ্র দেশের ন্যায় চকরিয়ায় ভূমিহীন,গৃহহীন পরিবার স্বচ্ছতার সাথে বাছাই করে,বরাদ্ধকৃত ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।প্রথম,দ্বিতীয়,চতুর্থ পর্যায় মিলে মোট-৮৭৪টি ঘরের মধ্য মাত্র ৭৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ সামান্য বাকী রয়েছে।দ্রুত চলমান ঘরের কাজ শেষ করার মাত্রই উপজেলাটি ভুমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেন,ভুমিহীন ও গৃহহীন আর আছে কিনা তদারকির চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি জাফর আলম,উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর-মেয়র,১৮জন ইউপি চেয়ারম্যান,মুক্তিযোদ্ধা,সাংবাদিক,এলাকার সুধিজন মিলে গৃহহীনমুক্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য-আশ্রয়ণের অধিকার,শেখ হাসিনার উপহার,এই স্লোগানে মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গৃহায়ন (ঘর) বরাদ্দের কাজ চকরিয়াতে সমাপ্তির পথে।এই কারণে ঘর পেয়ে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারেরা খুশি হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করেছেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর