জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের বৃহৎ উপজেলা চকরিয়াকে অতিশীঘ্রই শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে চকরিয়াই বৃহৎ উপজেলা।এটি ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে গঠিত হয়।মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ভূমিহী ও গৃহহীন লোকদেরকে পূনর্বাসন করার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হতে চলছে।
২০১৭ সালের তালিকা অনুযায়ী চকরিয়াতে মোট ৮৭৪ টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হিসেবে চিহৃিত করে তালিকাভূক্ত করা হয়।প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্ধকৃত ঘরগুলো উপজেলা প্রশাসন স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষে প্রথম ধাপে
১৮২টি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ২৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।এরপর ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ভূমিহীন ও গৃহহীন তালিকাভূক্ত উপকারভোগীদের কাছে ডকুমেন্ট সহ-বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে ১৯২ টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তৎমধ্যে ১১৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও আরো ৭৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।নির্মাণাধীন ঘরের কাজ শেষ হলেই,বরাদ্দকৃত মোট-৮৭৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন সক্ষম হবে।ফলে খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত ঘরসমূহ উদ্বোধন সহ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দিবেন।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)জেপি বলেন,চকরিয়াকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণার ব্যাপারে গত ১৫ ফ্রেরুয়ারী প্রশাসনিক এক বৈঠক হয়েছে।দেশে কোন পরিবার যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে।তাই মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সমগ্র দেশের ন্যায় চকরিয়ায় ভূমিহীন,গৃহহীন পরিবার স্বচ্ছতার সাথে বাছাই করে,বরাদ্ধকৃত ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।প্রথম,দ্বিতীয়,চতুর্থ পর্যায় মিলে মোট-৮৭৪টি ঘরের মধ্য মাত্র ৭৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ সামান্য বাকী রয়েছে।দ্রুত চলমান ঘরের কাজ শেষ করার মাত্রই উপজেলাটি ভুমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেন,ভুমিহীন ও গৃহহীন আর আছে কিনা তদারকির চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি জাফর আলম,উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর-মেয়র,১৮জন ইউপি চেয়ারম্যান,মুক্তিযোদ্ধা,সাংবাদিক,এলাকার সুধিজন মিলে গৃহহীনমুক্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য-আশ্রয়ণের অধিকার,শেখ হাসিনার উপহার,এই স্লোগানে মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গৃহায়ন (ঘর) বরাদ্দের কাজ চকরিয়াতে সমাপ্তির পথে।এই কারণে ঘর পেয়ে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারেরা খুশি হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করেছেন।