শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

কবিতা নগরীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব

নিউজ রুম / ২৬ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
শান্তির বিশ্ব হোক,কবিতার জয় হোক।’ উচ্চারণে গত ১৮ ও ১৯ মার্চ দেশ বিদেশের শতাধিক বরেণ্য কবিবৃন্দের অংশগ্রহণে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ২য় বারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব২০২৩।
১৮ মার্চ বিকেল ৩টায় কক্সবাজারের জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বরে উত্তরীয় পরিধান ও ফুলেল কবিবরণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এর মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।অতপর বেলুন উত্তরণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রার্থনায় আসীমের ঠিকানায় পত্র প্রেরণ করা হয়।

উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল,প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।সংম্বর্ধিত অতিথি কবি অসীম সাহা কে ‘সময়ের কবি প্রধান’ ঘোষণা স্মারক প্রদান করা হয়।ভারতের বরেণ্য কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী কে কবি’র ‘লাল পহাড়ের দেছে যা,রাঙামাটির দেছে যা।’ গানটির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘সমুদ্র সম্মান’ স্মারক প্রদান করা হয়।প্রথম বারের মতো বঙ্গবন্ধু কবিতা পুরষ্কার২০২৩ প্রাদান করা হয় যথাক্রমে ভারতের কবি কবি সাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশের কবি অনিকেত শামীম কে। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিভীষণ কান্তি দাশ,কবি বরণ করেন শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম। ঘোষণা পত্র পাঠ শেষে উৎসবের সভাপতি বহুমাত্রিক লেখক কবি কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় বক্তব্যে রাখেন- ভারতের কবি অরূপ চট্টপাধ্যায়,কবি মানসী কির্তনিয়া,সিকিমের কবি সঞ্জয় ঘটক,ত্রিপুরার কবি তন্ময় আচার্য,নেপালের কবি ঝুপ্পী সিং প্রমুখ।ঘোষণা পত্রে কক্সবাজারের নামকরণ করা হয় কবিতা নগরী।
২য় অধিবেশনে হয় কবিকন্ঠে কবিতা পাঠ।জেলা প্রশাসন প্রদত্ত নৈশ ভোজ শেষে রাতে হয় কবিতার সমুদ্র যাপন।

পর দিন ১৯ মার্চ কবিতার নিসর্গ যাপন শেষে পাহড়ি উত্তরণ মডেল কলেজ মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে হয় শতাদিক ছাত্রীদের ফুলের নৃত-গীতের মাধ্যমে কবিবরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।কবি বরণ শেষে বিশ্ব শান্তি প্রর্থনায় পুনরায় অসীমের ঠিকানায় পত্র প্রেরণ করা হয়,বেলুন উত্তোলন করেন কক্সবাজারের মেয়র মুজিবুর রহমান। কবি বৃন্দের সম্মানে কলেজের শিক্ষার্থীরা ৪৮ প্রকার পিঠা তৈরী করে আয়োজন করে বিশাল এক পিঠা উৎসব।কবিতার স্মারক বৃক্ষ রোপন, কবিবৃন্দের স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেল ৩টায় ২য় অধিবেশনে হয় কবিকন্ঠে কবিতা পাঠ,নতুন প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও সমাপনী অনুষ্ঠান।এর মধ্যদিয়ে দুই দিনের এই কবিতার এই বর্ণাঢ্য উৎসবের সমাপ্তি হয়।উল্লেখ্য কবিতার এই উৎসবে কবিতা নগরী কক্সবাজারের প্রায় সকল গ্রন্থিত মৌলিক কবি অংশ গ্রহণ করেন, যার সংখ্যা ৪৭ জন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর