শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মহেশখালীর তিন প্রবাসি নিহত :শোকের মাতম

নিউজ রুম / ২৫ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

এস এম রুবেল মহেশখালী থেকে :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় কক্সবাজারের মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মোহাম্মদ শেফায়েত মোজাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ হোসেন নামের তিন প্রবাসী নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় মাহায়েল রোড়ের একটি ব্রীজের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহত বাসের ২০ জন যাত্রীর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীর তিনজন রয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের বিস্তারিত বিবরণ জানা গেলেও মোহাম্মদ হোসেনের বিস্তারিত বিবরণ তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। এঘটনায় আরও ২৯ জন আহত হয়েছেন বলে সৌদি সরকার সে দেশের গণমাধ্যমেকে জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবারের শোকের মাতম চলছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের সান্ত্বনা দিতে ছুটে গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

সৌদি আরবে নিহতদের পারিবারিক সুত্র জানায়, নিহত মোহাম্মদ শেফায়েত ও মোহাম্মদ আসিফ পরস্পর আপন খালাত ভাই।

মোহাম্মদ আসিফ বড় মহেশখালীর পূর্ব ফকিরাঘোনা গ্রামের আহমদ উল্লাহর পুত্র এবং মোহাম্মদ শাফায়েত বড় ডেইল এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র । তারা সোদি আরবের আল বাহা ডিস্ট্রিকে মেইনটেন্সের কাজ করার সুবাদে কাছাকাছি থাকতেন। পবিত্র রমজানের সময় আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহ দেখতে এবং পবিত্র ওমরা হজ্জ করার জন্য দুজনেই নিয়ত করেছিলেন। এ কারণে তারা ওমরা হজ্জ করতে পবিত্র মক্কা শরিফের উদ্দেশ্য বড় আকারের বাসটিতে উঠেছিলেন। পরে ওই দুর্ঘটনার খবর মহেশখালীর নিহতের বাড়িতে এসে পৌছলে স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ আলবাহা ডিস্ট্রিকের এক হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে বলে পরিবারে পক্ষ থেকে একটি সুত্র নিশ্চিত করে।


নিহতদের আত্নীয় এডভোকেট নয়ন জানান, সৌদি আরবে নিহতদের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার বিষয়ে সে দেশে অবস্থানরত দূতাবাসের সাথে পরিবারের যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। দূতাবাসের সহায়তা ও পরামর্শ ক্রমে লাশ দেশে আসলে বা সেখানেই দাফনের বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নিহত আসিফের পিতা আহমদ উল্লাহ বলেন, আমার ছেলে ওমরা করার ইচ্ছে করার কথাটি তার মা কি জানিয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। তার মা বলছে আগে ওমরা করে নাও এখন আমাদের টাকা পাঠাতে হবে না। আমরা কোনভাবে কষ্ট করে চলতে পারব। দুর্ঘটনার ৮ ঘণ্টা আগেও তার মায়ের সাথে কথা হয়েছে। আমার ছেলে আর ফেরত আসবে না বলে হাউমাউ করে কান্না ভেঙে পড়েন নিহত আসিফের পিতা আহমদ উল্লাহ।
ঘটনার খবর শুনে, বুধবার সকালে নিহতদের পরিবারের ছুটে যান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছি। প্রাথমিকভাবে তাদের সান্ত্বনা দিলাম। এরপর পরিবারের বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে তাদের মৃতদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য সহযোগিতা সহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন আমরা এখন পর্যন্ত দুইজনের খবর জানি বাকি একজনের বিস্তারিত জানার পর জানতে পারবো আসলে তিনি মহেশখালীর কিনা।
সৌদি আরবে নিহতদের অকাল মৃত্যুতে মহেশখালীর বড়মহেশখালী ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতদের পরিবারগুলোতে স্থানীয়রা গিয়ে তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর